রাজ্য

স্কুলের গেট থেকে চত্বর চারিদিকে ভাঙা মদের বোতল! স্কুল পরিদর্শনে এসে চক্ষুচড়কগাছ মহিলা কমিশনের!

স্কুলে বিভিন্ন সময় পরিদর্শন‌ করতে পরিদর্শক আসেন, সেই সময় স্কুল সুন্দরভাবে সাজানো গোছানো হয় এবং স্কুলের সকল ছাত্রছাত্রীকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়। আসলে স্কুলের পরিদর্শকের কাছে স্কুল সম্পর্কে যাতে কোনরকম খারাপ বার্তা না যায় তার চেষ্টা করেন সকলে। সকলে যাতে স্কুলে পরিদর্শক আসার সময় পড়াশোনা করে আসে একথাও বলা হয়। তবে খুব কম ক্ষেত্রে এমনটা দেখা যায় যে, পরিদর্শক মহাশয় অথবা মহাশয়া স্কুল পরিদর্শনে এসে অসন্তুষ্ট হয়েছেন। সম্প্রতি এ রকমই একটি ঘটনা ঘটেছে।

স্কুল পরিদর্শনে এসে পরিদর্শকরা শুধু অসন্তুষ্ট হয়েছেন বললে কম বলা হবে, স্কুল দেখে রীতিমতো তাদের ভিরমি খাওয়ার জোগাড়! দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা স্কুল পরিদর্শনে এসে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন দিল্লি পরিচালিত চারটি স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে তাদের মনে হয়েছে এটি স্কুল না দুষ্কৃতীদের আড্ডাখানা? এই প্রশ্ন মনে ওঠার পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। আসলে স্কুল পরিদর্শনে গিয়ে তারা দেখেছেন সর্বত্র সিরিঞ্জ, গুটখার মোড়ক থেকে শুরু করে ভাঙা মদের বোতল পর্যন্ত ছড়ানো রয়েছে যা দেখে বিস্মিত হয়েছেন পরিদর্শকরা।

সম্প্রতি পুরো নিগম পরিচালিত একটি স্কুলে ছাত্রীর যৌন হেনস্থা ঘটনার পরই মহিলা কমিশনের তরফ থেকে দিল্লি পুরনিগম পরিচালিত চারটি স্কুল পরিদর্শনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই পরিদর্শনে গিয়ে তাদের চক্ষুচড়কগাছ হয়ে গিয়েছে রীতিমতো! মহিলা কমিশনের সদস্যরা উত্তর পূর্ব দিল্লির ভাই মনদীপ নাগপাল নিগম বিদ্যালয়, নিগম প্রতিভা শাহ শিক্ষা বিদ্যালয়, পূরবী দিল্লি নগর নিগম প্রতিভা বিদ্যালয়, দক্ষিণী দিল্লি নগর নিগম প্রাথমিক সহ বাল বালিকা বিদ্যালয় এবং ভাটি মাইনস বিদ্যালয়ে পরিদর্শন করেন।

এই সকল বিদ্যালয়গুলিতে পরিদর্শন করতে গিয়ে তারা দেখেন স্কুল গুলোর অবস্থা ভীষণ রকম খারাপ। অধিকাংশ স্কুলগুলির গেট খোলা, স্কুলগেটে কোনো নিরাপত্তা রক্ষী নেই। স্কুল গুলির মধ্যে ভয়ানক অবস্থা নিগম প্রতিভা শাহ শিক্ষা বিদ্যালয়ের। স্কুলে ঢুকবার পরেই প্রতিনিধিদলের পরিদর্শকদের নজর কাড়ে সিগারেটের বাক্স, মদের ভাঙা বোতল, ব্যবহৃত সিরিঞ্জ ও গুটখার মোড়ক। স্কুলের শৌচাগার গুলি ভীষণ নোংরা এবং দুর্গন্ধযুক্ত, কোন কোন স্কুলে আবার শৌচাগারের জল উপচে পড়ছে স্কুল চত্বরে, শৌচাগার গুলির মধ্যে কোনটির দরজা আছে কোনোটার নেই, যে শৌচাগারগুলির দরজা আছে সেগুলিও নিরাপদ নয়, পাশাপাশি স্কুলগুলিতে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থাও নেই- যা দেখে চোখ কপালে উঠেছে পরিদর্শকদের।

Related Articles