টানা দেড় ঘন্টা শুধু মুখ মাটির বাইরে! সর্বাঙ্গ চাপা রয়েছে মাটির তলায়! জল তেষ্টা পেলেও বলার উপায় নেই! ধারাবাহিকে নিজের সেরাটা দিতে এতটাই লড়াই করতে হয়েছে খেলনা বাড়ির মিতুলকে!
এই মুহূর্তে জি বাংলা(Zee Bangla)র অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক খেলনা বাড়ি(Khelna Bari)। ধারাবাহিকের নায়িকার চরিত্রে অভিনয় করছেন আরাত্রিকা মাইতি(Aratrika Maity)। অল্প দিনের মধ্যেই মিতুল দর্শকদের ভীষণ পছন্দের একটি চরিত্র হয়ে উঠেছে। বয়স যদিও অল্প কিন্তু ধারাবাহিকপ্রেমীদের মন ছুঁতে খুব একটা সময় লাগে নি এই মিষ্টি মেয়েটির।
শুরু থেকেই মিতুলের সাবলীল চরিত্রের অভিনয় মন কেড়ে নিয়েছে দর্শকদের। বিশেষ কোর্টের তা স্পষ্টবাদী সত্তা প্রতিবাদী চরিত্র দর্শক গ্রহণ করেছেন। কারণ আজকের দিনে মিতুলের মত মেয়েই প্রয়োজন সমাজের প্রত্যেকটি ঘরে ঘরে। যে সমস্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস রাখে সত্যি কথা মুখের ওপর বলতে পারে।
এখনকার বাংলা সিরিয়ালে দাপুটে অভিনেত্রীদের মধ্যে মিতুল কিছুটা হলেও এগিয়ে। তাই এই সিরিয়ালের অনুরাগীদের কাছে বেশি নম্বর পেতেই মিতুল নিজেকে এগিয়ে রাখতেই পছন্দ করে। ঘূর্ণির মেয়ে মিতুল পাল সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় আর এভাবেই প্রতিবাদী মিতুল অল্প দিনের মধ্যেই দর্শকদের মেয়ে হয়ে উঠেছে।
তবে নারী দিবসের দিনে এখনো লড়াইয়ের কথা বললেন আরাত্রিকা। জি বাংলার নন-ফিক্সান রিয়ালিটি শো ‘ঘরে ঘরে জি বাংলা’ (Ghore Ghore Zee Bangla)পৌঁছে গিয়েছিল পর্দার মিতুলের বাড়িতে। সঞ্চালিকা অপরাজিতা আঢ্য (Aparajita Adhya)পৌঁছে নানান কথা তুলে ধরলেন ঝাড়গ্রামের এই মেয়ের সম্পর্কে। ছোটবেলা থেকেই নাকি অভিনয়ের প্রতি তার আলাদা ভালোবাসা ছিল। আর তাই মেয়ের কি স্বপ্ন পূরণের জন্য সব সময় ভাবে পাশে এগিয়ে এসেছে দুজন মানুষ।
আর এই দুজন হলেন বাবা- মা। মাধ্যমিক পরীক্ষার দেওয়ার আগেই আরাত্রিকা অভিনয় জগতে পা রাখেন। জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক রানী রাসমণিতে একটি ছোট্ট চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। যদিও বিশেষ সংলাপ ছিল না তার। এরপর লকডাউনের পর থেকে ঝাড়গ্রাম থেকে ভাড়া গাড়ি করে অনেক কষ্টে প্রথম অডিশন দিতে এসেছিলেন আরাত্রিকা।
কিন্তু তার জন্য সে সময় অভিনেত্রীর মা সোনার আংটি বিক্রি করে দিয়েছিলেন সেটা আবার আরেকটি তার বাবা তার মেয়েকে প্রথম উপহার দিয়েছিলেন। এই কথা বলতে বলতেই চোখে জল এসে গিয়েছিল দাপুটে এই নায়িকার।
এদিন কথায় কথায় মিতুল সঞ্চালিকাকে জানান, মাটির তলায় চাপা পড়া শুটিং এর অভিজ্ঞতা। আরাত্রিকা সে সময় বলেন তিনি দেড় ঘন্টা শুধুমাত্র মুখটুকু বার করে মাটির তলায় ছিলেন। জল তেষ্টা পেলে পরিচালক নাকি নিজে এসে খাইয়ে দিচ্ছিলেন। এইভাবে নিজের শতাংশ দিয়ে অভিনয় করার চেষ্টা করেছিলেন আরাত্রিকা। পাশাপাশি নিজের পড়াশোনা নিয়েও ভাবছেন তিনি। ডিস্টেন্সে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত তিনি। চলতি মাসেই রয়েছে পরীক্ষা।