বাংলা সিরিয়াল

ছেলের কোন পরিবর্তনই দেখতে পাচ্ছেন না, ছেলেকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জীর

সন্তানরা কৈশোর থেকে যৌবনে পা দিলেই বাবা-মাদের মধ্যে একটা আলাদা দুশ্চিন্তা তৈরি হয়ে যায়। কারণ বয়ঃসন্ধিকালে হরমোনের জন্য প্রত্যেক এর ভেতরে এবং বাইরে বেশ কিছু পরিবর্তন আসে। এই সময় তারা নিজেদের এক আলাদা জগত তৈরি করে নেয়। আর সেই জগতে বাবা-মার প্রবেশ করতে পারে না। চাইলেও তারা সন্তানদের সেই সময় কন্ট্রোল করতে পারেন না। আর এই পরিস্থিতি একজন সিঙ্গেল ফাদার বা সিঙ্গেল মাদারের পক্ষে সামাল দেওয়া ভীষণই কঠিন হয়ে পড়ে। যেমন বর্তমানে এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন রচনা ব্যানার্জি। সম্প্রতি সেই কথাই দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে জানালেন অভিনেত্রী।

কিছুদিন আগে জি বাংলা জনপ্রিয় ধারাবাহিক জগদ্ধাত্রী স্বয়ম্ভু অর্থাৎ অভিনেতা সৌম্যদীপ মুখার্জি তার মায়ের সঙ্গে দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন। সেখানেই রচনা ব্যানার্জি প্রশ্ন করেন পর্দার ‘স্বয়ম্ভু’ বাস্তব জীবনে কেমন? মায়ের কাছে এই প্রশ্ন রেখেছিলেন রচনা। জবাবে মিঠু মুখোপাধ্যায় জানান, ‘ছোটবেলায় ভয়ানক দুরন্ত ছিল। কথা শুনত না একেবারেই।

সামলাতে পারতাম না ছেলেকে। বড় হয়ে নিজে থেকেই শান্ত হয়ে গিয়েছে।’ তারপর রচনা জিজ্ঞাসা করেন এই সব পরিবর্তন কখন থেকে আসে অভিনেতার মা জানান ১৫-১৬ বছর থেকে। রচনা ব্যানার্জি মুখে তখন একটি প্রশান্তির হাসি। অভিনেত্রী জানান, ‘আমার ছেলে ১৫। কোনও লক্ষ্মণ দেখতে পাচ্ছি না!’ সঙ্গে সঙ্গে স্বয়ম্ভূর মায়ের আশ্বাস, ‘হবে, আস্তে আস্তে হবে।’

রচনা ব্যানার্জি এবং তার স্বামী প্রবাল বসুর একমাত্র সন্তান হল রৌনক ওরফে প্রনীল। ছেলেকে যথেষ্ট কড়া ভাবে মানুষ করেন রচনা, ছেলের দিকে তার সব সময় কড়া নজর থাকে। ছেলের জন্য নিজের ক্যারিয়ার ও মাঝপথে বন্ধ করে দিয়েছেন তিনি। একার হাতে ছেলেকে মানুষ করেন। স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স হয়ে যাওয়ার পর থেকে এই ছেলেকে নিয়ে একাই থাকেন তিনি।

Related Articles