বাংলা সিরিয়াল

‘এ বাবা তুমি বিবাহিত, সেটাই তো জানা ছিল না’ – সারেগামাপা-এর মঞ্চে উপস্থিত অ্যালবার্ট কাবোর স্ত্রী ও কন্যা, হতবাক মহিলা অনুরাগীরা!

অ্যালবার্ট কাবো লেপচা, সারেগামাপা-এর চলতি সিজনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক প্রতিযোগী। কালিংপং-এর এই ভূমিপুত্রের গানে মুগ্ধ শ্রোতা থেকে বিচারক সকলেই। এমনকি মহা গুরুর আসনে বসা পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কাছেও প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছেন গায়ক। তাঁর দুর্দান্ত গানের গলা আর হ্যান্ডসাম লুক তাঁকে পৌঁছে দিচ্ছে জনপ্রিয়তার শিখরে। তারপর দেখলে প্রত্যেকবার মানুষকে হতবাক হতেই হতো।

কিন্তু এবার বিশেষ করে অবাক হলেন কাবোর মহিলা অনুরাগীরা। একেবারে সারেগামাপা-এর মঞ্চে নিজের স্ত্রী এবং কন্যাকে নিয়ে হাজির প্রতিযোগী। প্রসঙ্গত আগামী সপ্তাহতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সারেগামাপা-এর গ্র্যান্ড ফিনালে। তবে ইতিমধ্যেই ফাইনালে পৌঁছে গিয়েছে কাবো। সাম্প্রতিক এপিসোডে কুমার শানুর গাওয়া এভারগ্রিন রোম্যান্টিক গান ‘কুছ না কহো’ শোনা গেল কাবোর কন্ঠে।

এই দিনই দেখা গেল সামনেই বসে রয়েছে কাপড় স্ত্রী এবং একরত্তি কন্যা। তাঁদেরকে দেখতে পাওয়া গেল স্টেজেও। সেই মুহূর্তেরই কিছু ঝলক সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করেছেন কাবো। গায়কের স্ত্রীর নাম পূজা ছেত্রী। এদিন পূজা একটি সবুজ রঙের কুর্তা আর সিগারেট প্যান্ট পরনে ছিলেন।

তবে স্বামীর গান স্ত্রীয়ের যথেষ্ট পছন্দ হয়েছে তা প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে পূজার মুখের হাসিতেই। পূজার কোলেই ছিল কাবোর হৃদয়ের টুকরো। খুব স্বাভাবিকভাবে চারপাশে এতো আলো দেখে সেও বেশ খানিকটা ঘাবড়ে যায়। ছোট্ট ছোট্ট গোল গোল চোখে মায়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে সে। বিশেষ মুহূর্তের ছবি শেয়ার করে কাবো ক্যাপশনে লেখেন, ‘আজ সারেগামাপা-র মঞ্চে আমার স্ত্রী ও কন্যার সঙ্গে অবশেষে পরিচয় করাচ্ছি’।

তবে এই দৃশ্যে অবাক হয়েছেন গায়কের মহিলা অনুরাগীরা। একজন যেমন লিখেছেন, ‘এ বাবা তুমি বিবাহিত, সেটাই তো জানা ছিল না’। যদিও সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের বিয়ের রিসিপশন নিয়ে কখনোই কোনো কিছু গোপন করেননি তিনি। যারা সারেগামাপা দেখেন তারা জানবেন গ্র্যান্ড ফিনানের দৌড়ে রয়েছেন মাত্র পাঁচ জন। তাঁদের মধ্যে জায়গা পেয়ে গিয়েছেন কাবো। গায়ক সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘ধন্যবাদ জি বাংলা সারেগামাপা আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য, আমার সকল ফ্যানকেও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি আমাকে এত আর্শীবাদ আর ভালোবাসায় ভরিয়ে দেওয়ার জন্য’।

প্রসঙ্গত মাস কয়েক আগে পর্যন্ত অ্যালবার্ট কাবোর জীবন ছিল একদম অন্যরকম। পাহাড়ে টুরিস্ট গাইড হিসেবে কাজ করতেন তিনি। কখনো প্রকৃতপক্ষে হাতে-কলমে গানের প্রশিক্ষণ নিতে পারেননি। কিন্তু বর্ন ফায়ারের আসরে তিনি নিজের গান দিয়ে মুগ্ধ করতেন সকলকে। সকলের পরামর্শেই সারেগামাপা-এর জন্য অডিশন দেন। আর তারপরে আজকে তিনি গ্র্যান্ড ফিনালেতে দ্বিতীয় স্থান অধিকারী। তবে মানুষ ইতিমধ্যেই বিজয়ী করে দিয়েছেন অ্যালবার্ট কাবো লেপচাকে।

Related Articles