বাংলা সিরিয়াল

সুইটির আসল রূপ দেখে নিলো পর্ণা! দত্ত বাড়ি থেকে বার করে হোমে রেখে আসবে সুইটিকে পর্ণা! ঈশার ষড়যন্ত্র কাজ করলো না আর

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক হলো নিম ফুলের মধু।
এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, অবশেষে সুইটির ভালো মানুষীর ভিতরে যে অন্য গল্প আছে তা বুঝতে পেরে গেল পর্ণা এবং তার পরে সে সব জানতে পেরে সুইটিকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলো। হ্যাঁ সুইটি এবং তার গ্রামবাসীরা একপ্রকার ফাঁসিয়ে সৃজনকে বিয়ে করেছিল কারণ সুইটির উদ্দেশ্য ছিল বড়লোক মানুষ দেখে তাকে ফাঁসিয়ে নিজের উদ্দেশ্য হাসিল করা।

আরও পড়ুন : কপি ফুলের মধু আর নেকাই দ্বিতীয় সপ্তাহতেই স্লট হারায় সেখানে ৫০০ পর্বের পর স্লট হারানোটা গৌরবের!-হরগৌরী স্লট হারানোয় বলছেন হরগৌরী সাপোর্টাররা

প্রথম যখন সুইটিকে দত্তবাড়িতে নিয়ে আসে তখন দত্ত বাড়ির প্রত্যেকটা মানুষ সুইটির বিরোধিতা করলে পর্না বলে সুইটির একটা কাজ না খোঁজা পর্যন্ত দত্ত বাড়িতে ও থাকুক। তারপর তাকে কাজ দেখে দেবে পর্না আর কাজ পেয়ে গেলে সে বেরিয়ে যাবে।

কিন্তু ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, মৌমিতা ও অয়নের কথায় আবার‌ও মাথা ঘুরে গেছে কৃষ্ণার আর সে সুইটিকে মেনে নিয়েছে। তাই সুইটিকে হাজার জিজ্ঞেস করলেও সে কিছুই বলে না, সে পর্নার পায়ের কাছে বসে পড়ে মনে মনে ভাবতে থাকে যে, কাল রাতে কৃষ্ণা তাকে কী বলেছে?

কৃষ্ণা রাতে সুইটির ঘরে গিয়ে তাকে বৌমা বলে স্বীকার করেছে ও তার কাছ থেকে বাবুর মানে সৃজনের বাবু চেয়েছে,এক‌ই সাথে সে সুইটিকে মাথা ভর্তি সিঁদুর পরতে ও বলে। একথা গুলো ভেবে সুইটি মুচকি হাসতে থাকে, কিন্তু পর্না যখন কোনো উত্তর পায় না, তখন সে সুইটিকে টানতে টানতে নীচে নিয়ে যায় আর সৃজনের জেঠু এসব দেখে বলেন যে, তিনি জানতেন এমনটা হবে।

অন্যদিকে পর্ণা বারবার বললেও সুইটি কিছুতেই সিঁদুর মুছে ফেলে না, সে শুধু বলে আমি সিঁদুর মুছে ফেললে সৃজন দাদার অমঙ্গল হবে, এরপর সুইটি কৃষ্ণাকে বলে, মা আপনি কিছু বলুন,তখন কৃষ্ণও পর্নাকেই দোষ দিতে থাকে আর মৌমিতা-অয়নও পর্নার দোষ দেয়।

আরও পড়ুন : আসছে নতুন ধারাবাহিক উড়ান!ভক্তির সাগর থেকে রিজেক্ট হওয়া নায়িকাকেই এখানে প্রতীক সেনের নায়িকা হিসেবে কনফার্ম করা হয়েছে!

পর্ণার আর বুঝতে অসুবিধা থাকে না যে, এসব তার শ্বাশুড়ির জন্য‌ই হচ্ছে,তখন সে সৃজনকে সবটা বলে আর সৃজন বলে দেখো পর্না মাকে তুমিই সামলাও আর আমাকে উদ্ধার করো। সুইটি তখন বিষয়টাকে ম্যানেজ করতে অজ্ঞান হওয়ার নাটক করে,তার জ্ঞান ফিরলে পর্না বলে, আমি ঠিক করেছি এবার আমি সুইটিকে হোমে দিয়ে আসবো‌‌।এটা শুনে সুইটি ও কৃষ্ণা দুজনেই চমকে যায়।

কৃষ্ণা সুইটিকে ঈশারা করে পর্নার পায়ে পড়তে বললে সুইটি ও সেই কাজ করে কিন্তু পর্ণা আর ভোলে না, সে বলে,কিন্তু তুমি তোমার আসল রূপ দেখিয়ে দিয়েছো, তাই তোমাকে আমি আর এবাড়িতে রাখতে পারিনা। একটা ভালো হোম দেখে আমি ওখানেই দিয়ে আসবো।

Related Articles