বাংলা সিরিয়াল

‘পর্ণার লুকে পল্লবীকে বুড়ি বুড়ি লাগছে’! নিম ফুলের মধুর প্রথম এপিসোড কেমন লাগলো সবার?

জি বাংলায় ১৪ নভেম্বর রাত্রি আটটা থেকে হচ্ছে ‘নিম ফুলের মধু’। এই ধারাবাহিকে পর্ণা ও সৃজনের এবং যৌথ পরিবারের গল্প দেখানো হচ্ছে। ধারাবাহিকের প্রথম পর্বে দেখানো হয়েছে যে কন্যা এমন একজন মেয়ে যে যৌথ পরিবারে বিয়ে করতে চায় কিন্তু তার মা চায় না তার যৌথ পরিবারে বিয়ে হোক। পর্ণার মা চায় যে, পর্ণা বিয়ে করে বিদেশে সেটেল হোক।

প্রথম এপিসোডে দেখানো হয়েছে যে, নায়ক নায়িকার দেখা কীভাবে হবে। নায়ক তার ঠাকুমাকে নিয়ে গঙ্গার ঘাটে যায় সেখানেই নায়ক নায়িকার দেখা হবে। অন্যদিকে সেই গঙ্গার ঘাটেই পর্ণা গান গাইছে আর পর্ণার ঠাকুমার অ্যাক্সিডেন্ট হয় গঙ্গার ঘাটে, এরপর পর্ণা নিজে গঙ্গায় ঝাঁপিয়ে সেই ঠাকুমাকে বাঁচাতে যায়। এরপর গল্প কোন দিকে এগোয় সেটাই দেখার। প্রথম এপিসোডে নায়ক নায়িকা তাদের মানসিকতা এবং নায়িকার পরিবারটাকে খুব ভালো করে দেখানো হয়েছে।

প্রথম এপিসোড দেখে দর্শকের এক অংশ বলছেন,“ নিম ফুলের মধু মোটামুটি ভালোই লাগলো আমার কাছে,সবচেয়ে বেস্ট পার্ট ছিল প্রথমদিকে, একজন বাবা তার মেয়েটা অ্যাডাল্ট হয়ে যাওয়ার পরে ও কত কেয়ার করছে,হাতে ছ্যাকা লাগবে বলে তার হাতের গরম চায়ের কাপটা নিয়ে ফুঁ দিয়ে ঠান্ডা করে দিলো
শুভকামনা রইল”

আরেকজন আবার লিখেছেন, “ ভালোই লাগলো প্রথম এপিসোডটা! জি বাংলা প্রোডাকশনের সিরিয়ালগুলো বছর পরে আর যাই হোক, প্রথম প্রথম একটা বেশ বিশুদ্ধতা নিয়ে শুরু করতে পারে। তবে সমস্যা হলো, বেশিদিন ভরসা করা যায় না! যাই হোক, আমার তরফ থেকে পজিটিভ রিভিউই দিবো!”

আরেকজন লিখেছেন,“ পর্ণার মা”
উনি কিন্তু আমাদের আসেপাশের মানুষকেই রিপ্রেজেন্ট করেন।টিম “নিম ফুলের মধু” যখন দিদি নাম্বার ওয়ানের আসে তখন মানসী দি বলেন ধারাবাহিকটাই এমন যে প্রতিটি চরিত্রের সাথে কেউ না কেউ নিজেকে রিলেট করতে পারবেনই।
আমাদের সমাজে এমন অনেকেই আছে যে সেল্ফ সেন্ট্রেড।যারা আমি ও আমার স্বামী,স্ত্রী আর সন্তান এই রুলস ফলো করেন।একসাথে একান্নবর্তী পরিবার কাকা-কাকী,পিসি-পিসো,জেঠা-জেঠি এত মানুষ সমাগম পছন্দ করেন না….সবাই মিলে থাকার ইমোশন পছন্দ করেন না।তারা কেবলি নিজে আর নিজেদের কথা ভাবেন।সংসারের সবাইকে নিয়ে খুনশুটিটা ঠিক তাদের পোষায় না।নিজের মনোভাবের ওপর ছেলে- মেয়ের সংসার গোছাতে চান। “পর্ণার মা” ধারাবাহিকে ঠিক তাদেরই প্রতিনিধিত্ব করছেন।”

আবার কেউ বলছেন পর্ণার লুক নিয়ে,“ পল্লবী শর্মার জবা লুকটাই চোখে ভাসে,, ঠাকুমা,, শাশুড়ীই ভালো মানিয়েছিলো আজকে পর্ণাকে দেখেও আমার বুড়ি বুড়ি লাগলো”

Related Articles