বাংলা সিরিয়াল

‘অগ্নিপরীক্ষার থেকে পর্নাকে বাঁচিয়ে সৃজন জড়িয়ে ধরায় কৃষ্ণা কাঁদছে!মা না সতীন? সৃজনের উচিত কৃষ্ণাকে জড়িয়ে ধরা!’বিরক্ত দর্শক!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক নিম ফুলের মধুতে দেখা যায় যে দত্ত বাড়ির ছোটকাকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়, সে নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও তাকে সন্দেহ করা হয় আর তাকে নির্দোষ প্রমাণ করতে রুচিরা,চয়নসহ পর্ণা ছোটে লখনৌ তে, সেখানকার এক বাইজিখানায় রয়েছে ছোটকার নির্দোষ হওয়ার প্রমাণ।

সেই বাইজিখানায় গিয়ে পর্ণা আটক হয়ে যায়, প্রমাণ জোগাড় করবার জন্য পর্না আর রুচিরা বাইজি সেজে নাচ পর্যন্ত করে, এরপর নিজের উদ্দেশ্যে সফল হয়ে সৃজনের সহায়তায় বাইজিখানা থেকে পালাতে সক্ষম হয় তারা, কলকাতায় ফিরে ছোটকাকে নির্দোষ প্রমাণ করে পর্ণা। কিন্তু এত কিছু দত্ত বাড়িতে সৃজনের মায়ের চোখে পড়ে না, সৃজনের মা এবং সৃজনের চোখে খালি পড়ে বাইজি সেজে পর্ণার নাচটুকু!

এরপর এই ঘটনার প্রায়শ্চিত্ত করবার জন্য পুরোহিত ডেকে পর্নাকে গোবরের জল ছিটাতে বলে, পর্না তখন ভীষণভাবে আহত হয় এই দেখে যে তার মাকে সমর্থন করছে সৃজন। পর্ণা তখন বলে যে, এতোটুকুতে সে কীভাবে শুদ্ধ হবে সে তখন আগুন জ্বালিয়ে আগুনের উপর দাঁড়িয়ে অগ্নিপরীক্ষা দিতে যায়!-গতি বেগতিক বুঝে সৃজন তাকে কোলে করে তুলে নিয়ে ঘরে ঢুকায়।

এরপর দেখা যায় সৃজন পর্ণাকে জড়িয়ে ধরেছে আর সৃজনের মা সেটা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখেছে, এখানেই শেষ নয় ছেলে বউয়ের এই মুহূর্ত দেখে, সৃজনের মা কষ্ট পাচ্ছে এবং কাঁদছে। এই এপিসোড দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন,“সৃজন তোমার আর পর্ণা কে জড়িয়ে ধরতে হবে না !তুমি তোমার মা কে জড়িয়ে ধরো!
জানালা দিয়ে কোন্ মা উঁকি দেয় ছেলের ঘরে?
তুমি পর্ণা কে জড়িয়ে ধরেছো বলে তোমার মা কাঁদছে!
বৌয়ের হয়ে কথা বলেছো বলে কষ্ট পাচ্ছে মা!
মানে টা কি?
তুমি একটু পর্ণা কে জড়িয়ে ধরলে জানালা বন্ধ করে নিও।”কেউ আবার লিখেছেন,“কৃষ্ণাকে মা নয় পর্ণার সতীন মনে হয়”

Related Articles