মিঠাইয়ের আসন্ন এপিসোড দেখে খুশি দর্শকেরা, এবারেই কি তবে শেষমেষ মিঠাইরাণীর সবকিছু মনে পরে যাবে? মিঠাইয়ের স্মৃতি ফিরলে কি হবে মিঠি চরিত্রের!
ধীরে ধীরে ‘মিঠাই’ আবার ফিরে আসছে পুরোনো সেই ট্র্যাকে। টাইম স্লট পরিবর্তনের মতো একটা বড়সড় ধাক্কা পেয়েও গল্প আর অভিনয়ের জোরে ঠিক টিকে রয়েছে এই ধারাবাহিক টিআরপি তালিকায়। আবারও আগের মতো দর্শকরা দেখতে পাচ্ছে সিড আর মিঠাইয়ের জুটিকে। সিডের থেকে বকা খাওয়ার ক্লিপটি দর্শকদের খুব আনন্দ দিয়েছে। গাড়িতে বসে একের পর এক বকুনি দিয়ে গেছে সিড মিঠাইকে।
গাড়ি করে সিদ্ধার্থ মিঠাইকে নফর চন্দ্র দাসের বাড়িতে পৌঁছে দেয়, মিঠাই সেখান থেকে তাঁর আর মিষ্টির জামাকাপড় আনতে যায়। তবে নফর চন্দ্রের বাড়ির লোক মিঠাইকে একটা ওষুধ খাইয়ে তাকে অজ্ঞান করে দেয়। পরে তার জ্ঞান ফিরলে মন্দিরে নিয়ে যাওয়া হয় এবং মিঠাইকে বলা হয় যে তারা সবাই মন্দিরে পুজো দিতে যাচ্ছে। কিন্তু নফর চন্দ্র তার ছেলে রনির সাথে মিঠাইয়ের বিয়ে দেওয়ার জন্য সমস্ত বন্দোবস্ত করে রেখে দেয়।
বিয়ের শেষ পর্যায়ে যখন রনি মিঠাইয়ের সিঁথিতে সিঁদুর দিতে যাবে তখনই সেখানে হাঁপাতে হাঁপাতে পৌঁছোয় সিড। রনির সাথে হাতাহাতিও হয় তার। আর তখনই সিড সিঁদুরের কুনকে রনির হাত থেকে নিয়ে নেয় আর তা গিয়ে পড়ে মিঠাইরাণীর সিঁথিতে। তারপরে সেখানে আগত হয় রনির ভাড়া করা গুন্ডারা। সাথে সাথেই সিদ্ধার্থের ব্যাকআপ হিসেবে চলে আসে পুলিশ ফোর্স এবং সকলের প্রিয় হল্লা পার্টি।
তারা সকলে মিলে মারতে থাকে গুন্ডাদের, এই সবের মাঝখানেই যোজ্ঞের থেকে আগুন আস্তে আস্তে ছড়িয়ে যায় সমস্ত জায়গায়। মিঠাইয়েরও তখন মনে পরে তার জ্ঞান হারানোর আগের শেষ মুহূর্তগুলি। ধোঁয়ায় অজ্ঞান হয়ে সেখানেই পড়ে যায় মিঠাই। পরে তাকে বাড়ি নিয়ে গেলে সে তার থেরাপিস্ট রোহিতকে জানায় সে আরো অনেকগুলি ছবি দেখেছে তার মাথায়, তবে ছবিগুরি এবার পুরোপুরি স্পষ্ট।
মিঠাইয়ের এখনকার এপিসোডে সবথেকে বেশি প্রশংসা কুড়োচ্ছেন এখন মিঠির চরিত্রটি। সৌমিতৃষারই দ্বিতীয় রোল এই মিঠি। সৌমিতৃষার এত নিখুঁত অভিনয় কাঁদিয়েছে সকল দর্শকদের। সিডের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছিল সে, কিন্তু তা সত্ত্বে তাদের খুশির কথা ভেবে চোখে জল নিয়ে সড়ে যেতে হবে মিঠিকে। মিঠি আর মিঠাইয়ের এই নর্থ পোল সাউথ পোল চরিত্রের অভিনয় মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।
