ডিভোর্সের পর প্রাক্তন স্বামীর সঙ্গে ঢলাঢলি করলে সেটাকে নষ্টামি বলে, রাধিকা গুড্ডি নয়, কিছু বলার আগে ভেবে আসবেন’ – রাধিকার চরিত্র নিয়ে খারাপ কথা বলতেই একেবারে তুলোধোনা করে দিল সোনাটিক ভক্তরা
বর্তমানে বাংলার মানুষের জীবনে প্রত্যেকদিনের বিনোদন বলতে সবাই এক কথাতেই বলবে বাংলা ধারাবাহিক। প্রত্যেকদিন গল্প দেখতে অভ্যস্ত মানুষ। আর সেখানে থাকেন বেশ কিছু কলা কৌশলী। যাঁদের ছাড়া এই ধারাবাহিক অসম্পূর্ণ। বাংলা ধারাবাহিকের সাথে এই অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও মানুষের জীবনের অংশ হয়ে ওঠেন। একেবারে তাঁদের ঘরের মানুষ। যেমন প্রতীক সেন এবং সোনামণি সাহা।
সম্প্রতি ‘এক্কাদোক্কা’ ধারাবাহিকে আমরা জুটি হিসেবে দেখতে পারছি পোখরাজ এবং রাধিকার ভূমিকায় অভিনয় করছেন অভিনেত্রী সোনামনি সাহা এবং অভিনেতা সপ্তর্ষী মৌলিককে। এরই মধ্যে আবার এন্ট্রি হয়েছে অভিনেতা প্রতীক সেনের। এসেছে নতুন টুইস্ট। মোহর ধারাবাহিকের পরে প্রতীক আর সোনামণিকে একসাথে দেখলে হয়তো টিআরপি বাড়বে, এই আশাতেই হয়তো নির্মাতারা এনেছিলেন অভিনেতাকে। যদিও টিআরপি রেটিংয়ে বিশেষ কিছু প্রভাব পড়েনি।
প্রসঙ্গত মোহর ধারাবাহিকে শঙ্খ স্যার আর মোহরের জুটি বেশ মনে ধরেছিল ধারাবাহিক প্রেমীদের। এছাড়াও অভিনেতা খোকাবাবু ধারাবাহিকের তৃনা সাহার বিপরীতে অভিনয় করে মানুষের মন জয় করেছিলেন। কিন্তু শঙ্খ আর মোহরকে একসাথে দেখার চাহিদা এই ধারাবাহিকে পূর্ন করেছেন নির্মাতারা। আসলে যারা ধারাবাহিকের দর্শক তারা জানবেন বর্তমানে রাধিকা আর পোখরাজের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। দুজন এখন দুজনের থেকে অনেক দূরে থাকে। এমনকি রাধিকা এখন যে হাসপাতালে ইন্টার্ন করতে গিয়েছে, সেই হাসপাতালেরই এক গুরুগম্ভীর ডাক্তার ডাক্তার গুহর বাড়িতে থাকছে সে।
কিন্তু দর্শকদের অভিযোগ উঠেছিল একটি মূল বিষয়কে কেন্দ্র করে। অনেকেরই মনে হতে শুরু করেছিল যে এবার ধারাবাহিকে নির্মাতারা রাধিকা আর ডক্টর গুহর মিল করিয়ে দেবে। অন্যদিকে পোখরাজকে কম গুরুত্ব দিচ্ছে তাই শেয়ার নায়ক থাকবে না। খুব শীঘ্রই হয়তো ডাক্তার অনির্বানের সাথে রাধিকার বিয়ে দেখানো হবে। কিন্তু এসব দেখে বিরক্ত হচ্ছিলেন রাধিকা পোখরাজ ভক্তরা।
কিন্তু এরা রাধিকার চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তুলতে একেবারে তাদের তুলনা করে দিলেন সোনামণি আর প্রতীক ভক্তরা। তাদের সামনে একেবারে বিশ্লেষণ করে রাধিকা আর গুড্ডি’র মধ্যে পার্থক্য বুঝিয়ে দিলেন। একজন যেমন সম্পূর্ন বিষয়টি বিশ্লেষণ করে লিখেছেন, ‘আমি নিজে চোখে যা দেখেছি বাস্তবে ডিভোর্স হয়ে গেলে আর কোনোদিন আমি তাকে নিয়ে ন্যাকামো করতে দেখিনি।
আর এটায় হওয়া উচিত। গুড্ডির মতো ডিভোর্সের হওয়ার পর পোখরাজের সাথে ঢলাঢলি করলে তখন ভালো লাগতো?
ডিভোর্সের পর কে পুরনো স্বামীর সাথে ঢলাঢলি করে?
আর রাধিকার ডিভোর্স হসে গেছে ও এখন কার সাথে মিসবে কার সাথে মিসবে না কাকো বিয়ে করবে কাকে করবে না কার সাথে থাকবে কার সাথে থাকবে না এটা সম্পুর্ণ ওর বিষয়
আর এটা যদি গিরগিটি পনা হয় নস্টামো হয় তাহলে পৃথিবীর সব ডিভোর্সি নারীই নষ্ট। যারা রাধিকার দিকে আঙুল তুলছে তাদের ফ্যামলি তে কেউ ডিভোর্সি থাকলে তারাপ তো তাহলে নষ্ট।
তাই রাধিকা কে কাটাছেড়া করার আগে সবটা ভেবে করতে আসবেন। মনে রাখবেন ও যা করছে সবটা ডিভোর্স এর পর
আর ডিভোর্স এর পর সেই স্বামীর সাথে মিশলে সমাজ আরো বেশি খারাপ বলে’।
