বাংলা সিরিয়াল

“কেন মোটা মেয়ের পছন্দ-অপছন্দ কেউ জানতে চাইবে না” – ছোট পর্দায় মেয়েদের মনের প্রশ্ন করতে আছে “সোহাগ”

কালার্স বাংলা তাঁর বিভিন্ন সামাজিক বার্তা প্রেরণকারী ধারাবাহিকের গল্পের জন্যই বিখ্যাত। টেলিভিশনের আয়ুষ্মান খুরানা হচ্ছে এই চ্যানেল। প্রায় প্রত্যেকটি ধারাবাহিকেই ভিন্ন ভিন্ন বার্তা। কালার্স বাংলায় ‘একা বাবা’ , ‘একা মা’ , ‘মেয়ে অটোচালক’, ‘মেয়েদের বাড়ি’ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক ধারাবাহিক কালার্স বাংলায় চলছে। এই বছরের শেষে শুরু হয়ে যেতে পারে ‘সোহাগ চাঁদ’, যেই ধারাবাহিকের গল্পেও আছে এক সামাজিক বার্তা।

মেয়েদের স্থুলতা নিয়ে ২০১৫ সালেই প্রশ্ন উঠেছিল যে এখনো তাদের বাহ্যিক রুপের ভিত্তিতে কেন তাদের যাচাই করা হয়ে থাকে। কারণ সেই বছরেই মুক্তি পেয়েছিল ‘দম লাগা কে হাইসা’ যেখানে ভূমি পেডনেকার ছিলেন আয়ুষ্মান খুরানার মোটা স্ত্রী এবং তাকে মেনে নেওয়ার গল্প। খুব শীঘ্রই কালার্স বাংলাতে আসতে চলেছে সোহাগ ও চাঁদের গল্প। কাস্টিং ডিরেক্টররা এখনো চাঁদকে খুঁজে পাননি, তবে খুব শীঘ্রই পেতে চলেছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

২০১৯ এ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘একান্নবর্তী’ ছবিতেও এই একই বিষয়ের ওপর গল্প ছিল। ছবিতে মেয়ে ‘পিঙ্কি’ তার শরীরের পৃথুলতার জন্য উঠতে বসতে কথা শুনত, সবসময় কল্পনার জগতে থাকত সে আর তার পছন্দের একজন। এইরকমই এক গল্প নিয়ে আসছে সোহাগ। কিছুদিন আগেই একটি টিজার বের হয় যেখানে তুলাদন্ডে মাপা হচ্ছিল সোহাগকে। শরীরের ভিত্তিতে মেয়েদের বিচার হামেশাই করা হয়। বিয়ের পর বাড়ির বউরা মোটা হতে চান না স্বামীর ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত না হওয়ার জন্য।

২০১৯-এ ‘মিস প্লাস সাইজ ইন্ডিয়া’-এর বিজেতা অন্বেষা চক্রবর্তী আবারও প্রশ্ন তুললেন মোটা মেয়েদের কি মন থাকতে নেই? তাদের ইচ্ছা অনিচ্ছা কি কেউ জানতে চাইবে না কখনোই? শিক্ষিত বাঙালি সমাজের একাংশ তাদের গুরুত্ব দিলেও, ২০২২ এর শেষে এখনো একথা বলা যায় যে শরীর নিয়ে মেয়েদের নানা কথা এখনো শুনতে হয়, তা সে বিয়ের আগে হোক কিংবা পরে।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Colors Bangla (@colorsbangla)

Related Articles