বাংলা সিরিয়াল

‘অন্য পুরুষের রূপ নিয়ে চিত্রাকে চরিত্রহীনা প্রমাণ করল পঞ্চমী! রূপ বদল করে এইরকম টানটান মুহূর্ত সৃষ্টি পঞ্চমীতে এই প্রথম!’-হিন্দি নাগিনের মতোই টানটান হচ্ছে পঞ্চমী প্রশংসায় মুখরদর্শক!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক পঞ্চমীতে দেখা যাচ্ছে যে, পঞ্চমী আর আগের মতো বোকা নেই নিজের স্বামীকে বাঁচানোর জন্য সে নিজের সমস্ত বোধ বুদ্ধি প্রয়োগ করছে এবং একই সাথে প্রয়োগ করছে একজন নাগিন হিসেবে পাওয়া তার সমস্ত শক্তির। যেহেতু ফুলশয্যার রাত্রে কিঞ্জলের সাথে মিলনের পর চিত্রা কিঞ্জল কে খুন করবে এটা পঞ্চমী জানে তাই প্রথমে ঠান্ডা মাথায় সে কিঞ্জলকে বাড়ি থেকে দূরে পাঠায়।

চিত্রার থেকে কিঞ্জলকে দূরে রাখার জন্যে পঞ্চমী কিঞ্জলকে গিয়ে বলে যে, পঞ্চমীর তার মা বাবার খোঁজ পেতে খুব ইচ্ছে করছে, কিন্তু পঞ্চমীর পক্ষে তো যাওয়া সম্ভব নয়, তাই কিঞ্জল যেন গ্রামের বাড়ি গিয়ে তার বাবা-মার খোঁজ নিয়ে আসে।
অন্যদিকে কালনাগিনী চিত্রা কিঞ্জলকে নিজের কাছে টেনে আনার জন্য ঠাম্মিকে ভয় দেখিয়ে বিছানা থেকে ফেলে দেয় আর তারপর কিঞ্জলকে কল করে বলে, তাড়াতাড়ি বাড়ি আসতে।

ঠাম্মির পড়ে যাওয়ার খবর শুনে কিঞ্জল বাড়ি আসে আর বাড়ি আসার পর দেখে চিত্রা ফুল দিয়ে বিছানা সাজাচ্ছে তাদের দুজনের ফুলসজ্জার জন্য। এরপর চিত্রা যখন কিঞ্জলকে জড়িয়ে ধরতে চায় তখন সে দেখে যে, কিঞ্জল জোরে জোরে হাসছে এবং সে পঞ্চমী হয়ে উঠেছে। অর্থাৎ পঞ্চমী জেনে বুঝে কিঞ্জলের রূপ নিয়ে চিত্রার ঘরে প্রবেশ করেছিল।

আগামী পর্বে দেখা যায়, পঞ্চমী কিঞ্জলের রূপ ও গলা করে জোরে জোরে হাসতে থাকে, চিত্রার ঘর থেকে অন্য একটি ছেলের গলা আসছে শুনে বাড়ির সবাই চিত্রার ঘরে চলে আসে তখন পঞ্চমী অন্য এক ছেলের রূপ নিয়ে নেয়।

এরপর ঐ ছেলেটি(পঞ্চমী) বলে, আমি চিত্রার পূর্ব প্রেমিক। কিঞ্জল না থাকায় চিত্রা আমাকে আসতে বলে।
কিঞ্জল চিত্রা ও তার মাকে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে।

আগামী পর্বে আরো দেখা যায় যে, কিঞ্জলের মা বলে ভালোই ভালোই আপদ দূর হয়েছে, এবার কিঞ্জলের সাথে ওর বিয়েটা যেভাবেই হোক ভাঙতে হবে! অন্যদিকে চিত্রা নাগমায়ের সামনেই বলে ওঠে, আমি গুরুদেবের সাহায্য নিয়ে আগে পঞ্চমীকে শেষ করব তারপর কিঞ্জলকে। – এই এপিসোড থেকে দর্শকরা প্রশংসায় পঞ্চমুখ কারণ এরকম টানটান পর্ব হিন্দি নাগিনে দেখা যায় বাংলায় সেটা এই প্রথম প্রয়োগ হলো।

Related Articles