বাংলা সিরিয়াল

‘গ্রামের মেয়ে পাখি সাঁতার জেনেও কি করে ডুবে যায়? স্লট পাওয়ার জন্য এবার জলে ডুবতে হচ্ছে রাঙাবৌকে!’-পাখির গঙ্গায় ঝাঁপ দেওয়া দৃশ্য দেখে ট্রোল হলো রাঙা বৌ!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক রাঙ্গা বউ। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, দীর্ঘ সময় পরে ত্রিনয়নী খ্যাত জুটি গৌরব রায় চৌধুরী আর শ্রুতি দাস ফিরে এসেছেন। এই ধারাবাহিকে পাখি গ্রামের সহজ সরল মেয়ে আর কুশ শহরের বড় ব্যবসাদার পরিবারের ছেলে, কুশদের ফ্যাক্টরিতেই কাজ করতো পাখির বাবা, পাখির বাবার মৃত্যু সংবাদ দিতেই কুশ পাখিদের বাড়ি যায়, তবে সে পাখিকে সত্যিটা বলতে পারে না তার রোগের কারণে। কুশের একটা রোগ আছে তা হলো সে সব কিছু ভুলে যায়।

যদিও পাখি এই রোগের বিষয়ে কিছুই জানে না, পাখিদের গ্রামে একজন পাখি সম্মান নেওয়ার চেষ্টা করলে কুশ বাধা দেয়,তখন পাখির মামি এবং গ্রামের লোক পাখির সম্মানের বিষয়ে কথা বললে সবকিছু চিন্তা করে পাখিকে বিয়ে করে কুশ।

বিয়ের পর শীল বাড়ির বউ হয়ে আসে পাখি। সেখানে এসে সে অনেক কিছু মানিয়ে চলে এবং অনেক অপমান সে মুখ বুঝে সহ্য করে। একটা সময় তার বাবার ডেথ সার্টিফিকেটে সে হাতে পায় কিন্তু সে বুঝতে পারে না তাতে কী লেখা আছে? তাকে কুশ এবং সবাই বলে, তার বাবা তাদের ফ্যাক্টরিতে কাজ করতো কাজের জন্য তিনি বাইরে আছে। এরপর দেখা যায় যে কুশের ফ্যাক্টরির অন্যান্য লোকেরা জানতে পেরেছে যে তাদের রবিনদার মেয়েকে কুশ বিয়ে করেছে, তাই তারা সে
শীল বাড়িতে পাখির সাথে দেখা করতে গেছে।

সেখানে গিয়ে তারা রবিনদার একটি বাধানো ফটো পাখির হাতে দেয় এবং পাখিকে সব সত্যি জানায়, এরপর আগামী পর্বে দেখানো হয় যে, গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়েছে রাঙা বউ! কুশ কি বাঁচাতে পারবে তার পাখি কে?- অন্য দিকে দেখা যাচ্ছে যে জলে ঝাঁপ দিয়ে ডুবে যাচ্ছে রাঙা বৌ-এই বিষয়টা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছে প্রোডাকশন হাউস, এই দৃশ্য দেখে অনেকেই ট্রোল শুরু করেছেন, কেউ বলেছেন পাখি তো গ্রামের মেয়ে সে জলে কি করে ডুবে মরে? সে তো নিজেই সাঁতার জানে!- কেউ বা বলেছেন জোকার সেজে স্লট না পেয়ে এবার জলে ডুবে স্লট উদ্ধার করতে চাইছে রাঙাবৌ।

Related Articles