বাংলা সিরিয়াল

লাজে রাঙা হলো পর্দার ‘উষসী’ রুশা, ১৩ বছরের অভিনয় ক্যারিয়ারে ইতি টেনে আপাতত পরিকল্পনা সুখী গৃহকোণ, এলাহী আয়োজন করে সাত পাকে ঘুরলেন টলিউড অভিনেত্রী

বাবা-মা এটা যেটা আমাদের জন্য বেছে দেন সেটাই শেষ পর্যন্ত ভালো হয়। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো বিপরীত ফল পাওয়া যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাবা মায়েরা আমাদের ভালোটাই চায়। তাই বাবা-মায়ের পছন্দ করা পাত্রের গলাতে মালা দিলেন অভিনেত্রী রুশা চট্টোপাধ্যায়(Roosha Chatterjee)। পাশাপাশি ইতি টানলে নিজের দীর্ঘ অভিনয় কেরিয়ারে।

মাইক্রোসফ্টে কর্মরত অনুরণ রায় চৌধুরীর সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন তিনি। তারপর আমেরিকা নিবাসী। ইকোপার্কের সামনে ব্যাঙ্কোয়েটে বসেছিল তাদের বিয়ের আসর। তবে জাঁক জমক করে বিয়ে করলেও আসলে সেভাবে ইন্ডাস্ট্রির লোকজনের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। বাঙালি কণের সাজে সেজেছিলেন রুশা। যা ছবি ইতিমধ্যে ভাইরাল। প্রচলিত ট্রেন্ড ভেঙে বেনারসি নয় দিন লাল কাঞ্জিভরম শাড়িতে সেজেছিলেন তিনি। গা ভর্তি সোনার গয়না। দুহাতে শাঁখা পলা।

সত্যি কথা ‘সীমন্তিনী’ রুশার থেকে চোখ ফেরানোর উপায় ছিল না। বরের পরনে ছিল সরু নকশা কাটা পাঞ্জাবি এবং সরু সোনালী। তবে কেবল যে এলাহী আয়োজন বিয়েতে ছিল এমনটা নয়। তাদের খাবারের মেনু ছিল চোখ ধাঁধানোর মতো। স্টাটারে ছিল নানারকম কাবাবের স্টল। ননভেজ ভেজ দুই রকমের খাবারের আয়োজনে ছিল।

প্রধান পর্বে ছিল কড়াইশুঁটির কচুরি -আলুর দম, কবিরাজি ,পোলাও মাংস জমজমাট। আর শেষ পাতে মিষ্টিমুখ করার জন্য ছিল জিলিপি, রাবড়ি, সন্দেশ আর নলেন গুড়ের রসগোল্লা। এখন আপাতত রুশা রয়েছেন অনুরণের অশোকনগরের বাড়িতে। গিয়ে পরবর্তী আচারে ব্যস্ত তিনি।

পরের মাসে বরের সঙ্গে পাড়ি দেবেন আমেরিকা। সিয়াটেলে থাকেন অনুরণ। এখানেই নতুন বরের সঙ্গে সংসার পাতবেন অভিনেত্রী। তবে অভিনয় জগতে ইতি টানার আফসোস নেই তার। নতুন জীবন শুরু করাই লক্ষ্য তার।

২০০৯ সালে স্টার জলসার ওগো বধূ সুন্দরীতে ‘লাবণ্য’ চরিত্রের মধ্যে দিয়ে অভিনয় জগতে পা রাখেন তিনি। যেখানে ঋতাভরীর বোনের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল তাকে। এরপর ২০১৩ সালে তোমায় আমায় মিলে ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্র দেখা মেলে তার। তারপর সেভাবে আর অভিনয় জগতের লিড হিসেবে দেখা যায়নি তাকে। শ্রীময়ী ,মহাপীঠ তারাপীঠ কিংবা খেলা ঘরের মতো ধারাবাহিকে পার্ষ চরিত্রে দেখা গিয়েছে তাকে। সম্প্রতি হরগৌরী পাইস হোটেল ধারাবাহিকে আইপিএস অফিসার উষসী হিসেবে ক্যামিও রোলে দেখা গিয়েছে তাকে। নতুন জীবনের জন্য রইল একরাশ শুভেচ্ছা।

Related Articles