‘বেনি বৌদি যেন কোন vam;p!একজন মেয়েকে আর কত নিচে নামানো হবে?’সোহাগ জলের এপিসোড দেখে বলছেন নেটিজেন!
জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘সোহাগ জল’। শ্বেতা ভট্টাচার্য ও হানি বাফনা অভিনীত এই ধারাবাহিকে দূরে গিয়েও কাছে আসার গল্প দেখানো হতো। একটা সম্পূর্ণ ভুল বোঝাবুঝি থেকে বিয়ে হয় জুঁই আর শুভ্রর, সেই ভুল বোঝাবুঝির কথা জানতে পেরেই জুঁই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করেও ডিভোর্স পেপারে সাইন করে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। কারণ সে বিশ্বাস করে সম্পর্কের শেষ থেকে শুরু হয় দূরে গিয়ে কাছে আসা যায়। অন্যদিকে এতদিনে শুভ্র ও জুঁইয়ের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছে, নতুন করে এই সম্পর্কটাকে প্রতিষ্ঠা দিতে চায় তাই জুঁইকে ফিরিয়ে আনতে চায় নিজের কাছে। কিন্তু এরমধ্যেই জুঁই শুভ্রর সম্পর্কের মধ্যে ঢুকে পড়ে বেণী বৌদি।
বেণী বৌদি শুভ্রর এক দাদার বিধবা বৌ, আবার এই বেণী তার আরেকদাদা সাম্য চ্যাটার্জীর সাথে সম্পর্ক করে তার সন্তানের মা হয়েছে। কিন্তু সে এইবার সমস্ত দায় চাপাতে চাইছে শুভ্রর ঘাড়ে। রীতিমতো শুভ্রর সাথে সে জোর করতে শুরু করে তাকে সিঁদুর পরানোর জন্য,শুভ্র সিঁদুর পরাতে না চাইলে বেণী নিজেই নিজের সিঁথিতে সিঁদুর পরে নেয় ও বাড়ির সবাইকে বলে শুভ্রই নাকি তার সিঁথিতে সিঁদুর দিয়েছে,এমনকি প্রমাণ স্বরূপ শুভ্রর হাতে লেগে থাকা লাল সিঁদুর দেখায়। এরপর ধারাবাহিকে দেখানো হয় যে, শুভ্রর মা থেকে শুরু করে সকলেই প্রথম দিকে বেনিকে যা নয় তাই বলে অপমান করলেও পরে সবাই বেনির কাছে কার্যত মাথা নত করতে বাধ্য হয়। সিঁথি ভর্তি সিঁদুর নিয়ে বউ হয়ে বাড়িতে প্রবেশ ঘটে বেনির, নিজে জুঁই বরণ করে তাকে ঘরে তোলে।
এরপর দেখা যায় যে কাপড়ে আলতা পায়ের ছাপ দিয়ে বেনি ঢুকছে, সেই আলতা পায়ের ছাপের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে জল এসে আলতা পায়ের ছাপ মুছিয়ে দিচ্ছে! ধারাবাহিকের এপিসোড দেখে দর্শক বলছেন, এসব কি হচ্ছে? নায়কের কোন প্রতিবাদ নেই সমস্ত অন্যায় মেনে নিচ্ছে! অন্যদিকে বেনি বৌদিকে এমন ভাবে প্রেজেন্ট করা হচ্ছে যেন সে কোন vamp? এইভাবে একজন মেয়েকে আর কত নিচে নামানো হবে?
একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“প্রোমো দেখে মনে হয়েছিল খুব classy কিছু না হলেও একটু অন্যরকম, কিন্তু এভাবে ভুল প্রমাণিত হয়ে আবারো নিজেকে সামলে নিলাম। সিরিয়ালের এপিসোড না যাত্রাপালা ধরা মুশকিল, যেখানে নায়িকা হলেন “সতী নারী” বেনি আর নায়ক তো নায়ক নয়, যেন দম দেওয়া পুতুল.. অল্প সল্প প্রতিবাদ মাঝে মাঝে করছে ঠিকই যাতে মনে না হয় যে শোপিস। বেনি মুখের ওপর সবার সামনে যা মুখে আসছে তাই বলছে, এমনকি নিজের গর্ভের সন্তানের বাবার পরিচয়ও দিয়ে দিল। তাতেও কি অদ্ভুত নির্বিকার আর স্তব্ধ এই সিরিয়ালের নায়ক!
নাকি এখনো বেনি “বৌদি” র নারী হওয়ার সুবাদে তাকে সম্মান জানানোর জন্য এই নিরবতা? আবার জুঁই কে কিছু বলতে বারণ করছে। ওর সামনে বেনি সাজগোজ করতে ঘরে ঢুকেও গেল তাতেও শুভ্রর কোনো বিকার নেই… ওই মাঝে মাঝে ফুরিয়ে আসা শব্দবাজির আলোর ঝলকানির মত জ্বলে ওঠা ছাড়া। জুঁইয়ের সিঁথির সিঁদুর মুছে দেওয়ার সময়েও সে আটকাতে পারলনা। কেবল কান্না কান্না মাখা একটা অসহায় মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বিশ্বাস করুন এরপরও কোনো সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ হয়ে এই সিরিয়াল দেখে যাওয়ার ধৈর্য্যটা আর ধরে রাখা যাচ্ছেনা।
মেয়েদের আর কত নিচে নামাবেন? Vamp তৈরি করতে গিয়ে গল্পে ন্যুনতম স্বাভাবিকতা, বিষয়বস্তু তে সুস্থতা বজায় রাখছেন না। একজনের সন্তান গর্ভে ধারণ করে আরেকজন কে জোর করে সেই সন্তানের দায়িত্ব দিয়ে, মিথ্যে সিঁদুর পরে মিথ্যে অজুহাতে অন্যের সংসারে ঢুকতে চাওয়া টা কি চরম বদ মানসিকতার পরিচয় দেয় সেটা আপনারা ভাবতেও পারছেন না। আবার সে নিজে আগে থেকে আরেকজনের বিধবা, তার মানসিক অবস্থান ঠিক কোন তলানি তে এনে ফেলেছেন। সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা সবার আছে… গল্পে এই মোড় টা কারোর পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়, এর প্রভাব trp তে পড়বে বলেই আমার ধারণা,যদি এতে করে trp বাড়ে তাহলে অগ্রিম শুভেচ্ছা রইলো”
View this post on Instagram
