বাংলা সিরিয়াল

‘মিঠির সাথে ফারাক বোঝাতেই রাতুল শ্রীর মাঝে পায়েলকে এন্ট্রি করানো হয়েছে! নিছক পরকীয়া দেখানোর উদ্দেশ্যে নয়!’-রাতুল শ্রীর মাঝে তৃতীয় ব্যক্তি আসার কারণ অবশেষে প্রকাশ্যে এলো!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাই তে রাতুলের জীবনে এবার দ্বিতীয় নারীর আগমন ঘটানো হয়েছে। পায়েল নামে একটি মেয়ে যে আসলে রাতুলের ছাত্রী সে তার প্রফেসর রাতুলের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছে আর এখন সে চাইছে রাতুল আর শ্রীর মধ্যে দূরত্ব ক্রিয়েট করতে।

রাতুল এতটাই সহজ-সরল, যে সে এই সমস্ত ষড়যন্ত্রের বিষয়টা কিছুই বুঝতে পারছে না, সে না জেনে বুঝেই এই ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা দিচ্ছে। রাতে ওই ছাত্রী ফোন করে যখন রাতুলকে নিজের অস্বস্তি বলা হয় লাগার কথা বলে তখন সে রাতুলকে অনুরোধ করে তার সাথে দেখা করার জন্য। এইসব দেখে স্বাভাবিক ভাবেই রেগে যায় শ্রী। তারপর এই নিয়ে রাতুল আর শ্রীর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়ে যায়।

এখন মিঠাইতে এই চরিত্রটি কি কেন নিয়ে আসা হয়েছে? শুধুই কি পরকীয়া দেখানোর জন্য?নাকি এই চরিত্রটিকে নিয়ে আসা হয়েছে রাতুল আর শ্রীর মধ্যে দূরত্ব ক্রিয়েট করে টি আর পি বাড়ানোর জন্য? কোনটা? এর কোনোটাই নয়, দর্শকদের মতে মিঠির সাথে সঙ্গীতা বা পায়েলের মত চরিত্রগুলোর ফারাক বোঝাতেই লেখিকা ঠান্ডা মাথায় এই তৃতীয় ব্যক্তি কে পুট করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন পায়েলের মনস্তত্ত্ব নিয়ে লিখেছেন যে,“দেখুন, আমি বুঝতে পারছি, আপনি নিয়মিতভাবে সিদ্ধার্থ মোদক এবং রাতুল মিত্রের মতো ছেলেদের খুঁজে পাবেন না। কিন্তু এ কেমন নির্বোধ একগুঁয়ে আচরণ? আপনি “রাতুল শুধু আমার?” দ্বারা কি বোঝাতে চান? যখন আপনি জানেন যে তিনি বিবাহিত এবং সুখী, তখন “সে আমার এবং আমি তার স্ত্রীকে তার জীবন থেকে বের করে দেব!”এর মানে কি বোঝাতে চাচ্ছো? শোন, এর একমাত্র অর্থ হল আপনি চরিত্রহীন। আপনি জানেন, মিঠি এবং পায়েলের মধ্যে এটাই পার্থক্য, তারা দুজনই একজন বিবাহিত পুরুষের “প্রেমে পড়েছিলেন,” কিন্তু একজন তার ধার্মিকতার বোধকে অতিক্রম করেনি, এবং অন্যটি হঠকারী, মনহীন, চরিত্রহীন নারী!

এখানে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছে শুধুমাত্র চরিত্রের উদ্দেশ্যে এবং অভিনেতার জন্য নয়।দয়া করে মন খারাপ করবেন না। শ্রীতুল আমার জন্য একটি আবেগ। এবং যখন আমি এইরকম কিছু ঘটতে দেখেছি, তখন শ্রীর জন্য আমার খারাপ লাগে।”

 

View this post on Instagram

 

A post shared by mithai prem (@mithailoves)

Related Articles