দেশ

বাবরির মত জ্ঞানবাপী মসজিদকে হারাতে চাইনা! মসজিদের গায়ে স্বস্তিক চিহ্ন বিতর্কে উদ্বেগ প্রকাশ ওয়াইসির

বাবরি মসজিদ নিয়ে এমনিতেই প্রচুর জলঘোলা হয়েছে, বর্তমানে নতুন একটি মসজিদ নিয়ে আবার নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে বাবরির মতো আবার আর একটা মসজিদ হারানোর আশঙ্কায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ওয়াইসি। কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে এমনিতেই বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। কাশীর জ্ঞানবাপী মসজিদ নিয়ে বারানসির আদালতের রায়কে ঘিরে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে। এই প্রসঙ্গে অল ইন্ডিয়া মুসলিম ই- ইত্তেহাদুল মুসলিমীন প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি তোপ দাগলেন। জ্ঞানবাপী মসজিদের রায়কে উপাসনা স্থান আইন ১৯৯১ এর স্পষ্ট লঙ্ঘন বলে তোপ দেখেছেন তিনি।

পেশায় আইনজীবী ওয়াইসির বক্তব্য হলো, আইন অনুসারে কোন ব্যক্তি কোন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপাসনালয় বা তার কোন অংশকে ভিন্ন ধর্মের উপাসনালয়ে রূপান্তর করতে পারবেন না। তাহলে কী করে এমন সমীক্ষা করা হচ্ছে এই নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ওয়াইসি! ওয়াইসি আরো বলেন যে, “এটি স্পষ্ট ভাবে আইনের লঙ্ঘন। আমি আশা করি অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ড এবং মসজিদ কমিটি সুপ্রিম কোর্টে যাবে। আমি একটি বাবরি মসজিদ হারিয়েছি এবং ‌ আমি আরো একটি মসজিদ হারাতে চাই না।”

দিল্লির বাসিন্দা রাখি সিং, লক্ষী সিং, সীতা সাহু ও অন্যান্যরা একটি আবেদন করেন , সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বারাণসী জেলা আদালত জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার বারানসির একটি আদালত নির্দেশ দেয় যে, জ্ঞানবাপী মসজিদের সমীক্ষা শেষ করে সেই রিপোর্ট ১৭ই মে এর মধ্যে পেশ করতে হবে। একই সাথে আদালত জেলা প্রশাসনকে কোন রকম অজুহাত দেখিয়ে বিলম্ব না করে এই সমীক্ষা দ্রুত চালানোর নির্দেশ দিয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে একটি সমীক্ষা ও ভিডিওগ্রাফি সময় বারাণসীর জ্ঞানবাপী শ্রীঙ্গার গৌরী কমপ্লেক্সের খুব কাছে দুটি স্বস্তিক চিহ্ন দেখা গিয়েছিল বলে সমীক্ষার ভিডিওগ্রাফার দাবি করেন। এরপর কোর্ট কমিশনারের দলের ভিডিওগ্রাফাররাও বলেন যে, তারা সমীক্ষা চালানোর সময় মসজিদের বাইরে দুটো আবছা কিন্তু স্পষ্ট স্বস্তিক চিহ্ন দেখতে পেয়েছিলেন। তারাই সাথে আরো বলেন যে, স্বস্তিক চিহ্ন গুলো দেখে বোঝা যাচ্ছে, এই স্বস্তিক চিহ্নগুলি প্রাচীনকালে তৈরি। এই পরিস্থিতিতে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়াতে থাকে, বিক্ষোভের মুখে পড়ে সেই সময় সমীক্ষা স্থগিত করা হয় এবং মুসলিম পক্ষের তরফ থেকে কমিশনারের অপসরণের দাবি জানানো হয়।

কিন্তু কোর্ট সেই অপসারণের দাবি খারিজ করে কোট সমীক্ষা সম্পন্ন করার নির্দেশ দেয়। এখন এই সমীক্ষা সম্পন্ন করাকে ঘিরেই মুসলিম পক্ষের মধ্যে রীতিমতো অসন্তোষ ছড়িয়েছে। মুসলিম পক্ষের বক্তব্য যেখানে মসজিদকে অন্য কোন ধর্মের উপাসনালয়ে পরিবর্তন করা সম্ভব নয়, সেখানে কেন এই সমীক্ষা করা হচ্ছে? এই সমীক্ষার ফল বেরোনোর পর কী হতে চলেছে তা জানতেও উদগ্রীব হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

Related Articles