দেশ

শাস্ত্রমতে বাঘের শেষকৃত্য, সবাইকে কাঁদিয়ে চলে গেল ২৯ শাবকের জন্ম দেওয়া “সুপার মম”, হিন্দু মতে শেষকৃত্য হল ‘কলারওয়ালির’, ‘সুপার মম’ কাঁদিয়ে গেল সকলকে

১৬ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল কলারওয়ালি। মধ্যপ্রদেশের জঙ্গলে রাজত্ব ছিল তার। ১৬ বছরের মধ্যে ২৯’টি শাবকের জন্ম দিয়েছে সে। এই কারণের জন্য তাকে ‘সুপার মম’ বলেও ডাকা হত। সাধারণত একটা প্রাপ্তবয়স্ক বাঘ বাঁচে ১২ বছর কিন্তু সে বেঁচেছিল ১৬ বছর। অবশ্য বন দফতরের কাছে বাঘিনীটি পরিচিত ছিল টি-১৫ নামে। গত শনিবার সন্ধ্যায় ৬.১৫ নাগাদ রিজার্ভের কর্মঝিরি রেঞ্জে বাঘিনীটি মারা যায়।

‘সুপার মম’ মারা যাওয়ার পর সেই খবর পেঞ্চ টাইগার রিজার্ভের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে। পেঞ্চ রিজার্ভ ফরেস্টের অন্যতম মূল আকর্ষণ ছিল সে। তার গলায় কলার বাঁধা থাকতো বলে পর্যটকরাই তাকে ভালবেসে নাম দিয়েছিল কলারওয়ালি। পাশাপাশি নিজের জীবনকালে ২৯’টি শাবকের জন্ম দেওয়ার জন্য তাকে ‘সুপার মম’ও বলা হত। স্থানীয় বাসিন্দারা তাকে মাতারানি বলেও ডাকতেন। শনিবার বাঘিনী কলারওয়ালি সকলকে কাঁদিয়ে চলে গেল। একেবারে হিন্দু মতে কাঠ দিয়ে সাজিয়ে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে। ফুলমালাও পরানো হয়েছিল যাতে।

স্থানীয় মানুষজন তার মৃত্যুর পর তাকে শেষ দেখা দেখতেও এসেছিলেন। চোখের জল নিয়ে তাকে বিদায় জানালেন সকলে। তাদের মধ্যে বনদফতরের কর্মীরাও ছিলেন। বয়স হওয়ার জন্য শেষের দিকে ভালো করে হাঁটতেও পারত না সে। বনদপ্তরের তরফ থেকেই জানানো হয়েছিল, ১৪’ই জানুয়ারি শেষবার তাকে দেখা গিয়েছিল একটি নালার কাছে। সেখানেই সে প্রায় ২ ঘন্টা পড়েছিল। খবর পেয়ে বনদপ্তরের কর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়, আর সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

তার প্রয়াণের খবর পেয়ে শোক প্রকাশ করেছেন অনেকেই। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান টুইট করে শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও আইএফএস অফিসার পারভীন কাসওয়ান জানিয়েছেন, ২৯’টি শাবকের জন্ম দিয়ে রেকর্ড গড়েছিল কলারওয়ালি। তিনি এও জানিয়েছেন, সে তার প্রজাতিকে সুস্বাস্থ্যের মধ্যে রেখেছিল। এছাড়াও পৃথিবীতে যে ক’টি বাঘের সবথেকে বেশি ছবি তোলা হয়েছিল তার মধ্যে সে একজন ছিল। বলাই বাহুল্য, আর প্রয়াণে মধ্যপ্রদেশের অনেকেই গভীরভাবে শোকাহত।

Related Articles