“অমিত শাহের নাম নেবেন না আমার সামনে!”- কেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম শুনে চটে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
রাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সফর ঘিরে দিন কয়েক ধরেই রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে আছে। এইবার অমিত শাহের রাজ্য সফরের মধ্যেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরি আক্রমণ করে বসলেন। গত বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম শুনে রীতিমতো চটে যান মমতা। অমিত শাহের নামে না করে তার সামনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলে সম্বোধন করতে নির্দেশ দেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার তৃণমূলের অস্থায়ী পার্টি অফিসে রাজ্য কমিটির প্রথম বৈঠকের পর যে সাংবাদিক বৈঠক হয় সেখানেই অমিত শাহের বিরুদ্ধে যাবতীয় ক্ষোভ উগরে দেয় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী।
মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়,“স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলুন সেটাই যথেষ্ট। ওনার নাম আমার সামনে নেবেন না।” এখানেই থেমে থাকেননি মমতা এরপর রীতিমতো গলা চড়িয়ে CAA নিয়ে বলতে শুরু করেন তিনি। মমতার কথায়, “রোজকার মিথ্যে কথা বলাটা অপরাধ আর মালিকের নির্দেশে একই কথা বারবার তোতাপাখির বুলি। উনি যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হয়েছেন, সেটা কাদের ভোটে? নাগরিক না হলে তারা ভোট দিল কী করে?”
রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে অমিত শাহ তার ভাষণে সমালোচনা করেছিলেন, এইদিন শাহর মন্তব্যর পাল্টা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়,“তৃণমূল কংগ্রেস কে নিয়ে ওনাকে ভাবতে হবে না। উনি দিল্লি দেখুন। উনি উত্তরপ্রদেশ দেখুন। মধ্যপ্রদেশের সাংবাদিকদের সঙ্গে কী হচ্ছে দেখুন। জাহাঙ্গীর পুরীতে কি হয়েছে সেটা দেখা উচিত। বাংলা ওনাদের কাছে নেই। তাই বাংলাকে নিয়ে এত নোংরা কথা বলা উচিত নয়।”
উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্য ঘোষণা প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দিন বলেন, “ বিজেপি সিপিএম এর বি টিম। সিপিএম বিজেপি লিংক ম্যান। এদের কাজই সবকিছু টুকরো করা ওরা মনও টুকরো করে দিতে পারে। এরা হিন্দুর সাথে মুসলিমের ডিভোর্স করাতে চায়, বাঙালির সঙ্গে রাজবংশী ডিভোর্স করাতে চায়, বাঙালির সাথে বাঙালির ডিভোর্স করাতে চায়। দেশের জন্য কি করেছেন উনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়ে ইডি সিবিআই বাদ দিয়ে কোনও কাজ করেছেন উনি? ইদের দিনটা ও ছাড়েনি। সেদিনও দাঙ্গা করিয়েছে।”
অমিত শাহ তার মন্তব্যে বলেছিলেন রাজ্যে ৩৫৫ ধারা লাগু করার কথা, এদিন তার বক্তব্যের মধ্যে সে প্রসঙ্গ টেনে আনেন মমতা। মাননীয়ার কথায়, “তার মানে উনি এগুলো হতে দেবেন? তার মানে উনি ষড়যন্ত্রকারী? বেড়াল ঝুলি থেকে বেরিয়ে পড়েছে। এটা কোন ও দিন হবে না। আমি আপনাকে শ্রদ্ধা করি, কিন্তু বিএসএফকে রাজ্যের উপর কথা বলতে নির্দেশ দেবেন না। আপনাদের দায়িত্ব গরু পাচার রোখা,অনুপ্রবেশ রোখা। আপনার দায়িত্ব এই এলাকায় শান্তি রক্ষা করা। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় বুলডোজার চালানো আপনার কাজ নয়। তাই এটা করবেন না। আগুন নিয়ে খেলবেন না। গণতান্ত্রিকভাবে মানুষ তার জবাব দেবে।”