দেশ

ওদের মস্তিষ্ক ডাস্টবিন! নূপুর শর্মার বক্তব্যে নাম না করে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

হজরত মহম্মদকে নিয়ে বিজেপি সাংসদ নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে উত্তাল হয়ে আছে রাজ্য রাজনীতি। হজরত মহম্মদকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য বলার পরে নুপূর শর্মাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। হজরত মহম্মদকে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করার জন্য বাংলার জনপ্রিয় দাপুটে অভিনেতা কৌশিক সেন বলেছেন, পার্টি যার নুপূর শর্মার বক্তব্যের দায় তাকেই নিতে হবে। বর্ষীয়ান অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ নুপূর শর্মার বক্তব্য নিয়ে বলেছেন, আমি আশা করব প্রধানমন্ত্রী যেসব বিদ্বেষীদের টুইটার ফলো করেন, তাকেই কিছু করতে হবে ওদের চুপ করানোর জন্য, কারণ তার কথাতেই কাজ হবে। অন্যদিকে বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত নুপূরকে সমর্থন করে বলেন, “নুপূরের ও নিজস্ব মতামত জানানোর অধিকার রয়েছে। ওকে সব ধরনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যখন হিন্দু দেবদেবীরা অপমানিত হয়, যা প্রায় প্রতিদিনই হয়, তখন আমরা আদালতে যায়, দয়া করে সেটাই করুন, নিজেরা ডন হয়ে ওঠার কোন দরকার নেই।”

সম্প্রতি এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মকে গালিগালাজ করবেন, তা হতে পারে না। যাঁরা এটা করেন, তাদের মাথা ডাস্টবিন।” মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের একটি অনুষ্ঠানে বলেন যে, দাঙ্গা-হাঙ্গামা কখনো কোন ধর্মের লোক করেন না,করেন কিছু লোভী নেতা। যাদের মস্তিষ্ক ডাস্টবিন, সেখান থেকে বাজে বাজে চিন্তা ধারা তুলে আগুন লাগায়, গাড়ি পোড়ায়, যখন তখন রাস্তায় বসে পড়ে।

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,“ যারা নেগেটিভ লোক, তারা সারাক্ষণ কুচুটেপনা করছে। আমি ওদের দোষ দিই না। মস্তিষ্ক থেকে চিন্তা হৃদয়ে গিয়ে মানবিকতার জন্ম দেয় ওদের সেই হৃদয় বন্ধ। আর ওদের মস্তিষ্ক ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। সেখানে এসব খারাপ জিনিস ফেলে দিচ্ছে। যে কুৎসা, অপপ্রচার করছে তা আসছে ওই ডাস্টবিন থেকে।”

এই প্রসঙ্গে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী পরমহংসদেব রামকৃষ্ণদেবের উল্লেখ করেন, কারণ তিনি যত মত তত পথ এই কথাটি বলে গিয়েছিলেন, সকল ধর্ম যে এক তা তিনিই বলেন, “যে মস্তিষ্ক ও যে হৃদয়ে মানবিকতা নেই, সেটা মরুভূমি। যারা মেরুকরণ করছেন তাদের বলি আসুন রামকৃষ্ণ দেবকে পড়ি, জানি। শুধু উল্টোপাল্টা বললেই হবে?” এইদিন রামকৃষ্ণদেবের টাকা মাটি মাটি টাকা বাণীর উল্লেখ করে মমতা বলেন,“প্রয়োজনের অতিরিক্ত লোভী যারা, তাদের জন্য এই কথার মাধ্যমে রামকৃষ্ণদেব বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, টাকা আজ আছে কাল নেই।”

Related Articles