দেশ

‘অ-বিজেপি’রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের ‘মহাজোট’! এবারেও লোকসভা নির্বাচনের বড় মুখ ‘মমতা’!

২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের একজোট হচ্ছে বিরোধী শিবির! সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, মুম্বাইতে খুব শীঘ্রই অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা একত্রিত হয়ে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে নামতে চলেছেন। গত রবিবার শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত সংবাদমাধ্যমের কাছে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি জানিয়েছেন দেশের সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতির বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবার জন্য খুব শীঘ্রই মুম্বাইতে অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের একটি কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হবে। অবিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের একজোট করবার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই অ-বিজেপি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের একজোট হওয়ার বার্তা দিয়ে চিঠি লিখেছিলেন, আর তার সেই চিঠিতে সাড়া দিয়েই শিবসেনার তরফ থেকে এই মহাজোটের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।

শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের কথা অনুযায়ী, এনসিপি প্রেসিডেন্ট শরদ পাওয়ার ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছেন ও মুম্বাইতে কনফারেন্স করার ব্যাপারে তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই কনফারেন্সে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে আলোচনা করা হবে। দেশজুড়ে বেড়ে ওঠা বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার ও সাম্প্রদায়িক হিংসা সংক্রান্ত ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানা যাচ্ছে।

শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের বক্তব্য অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় শাসক দলের মদতে দেশজুড়ে ধর্মীয় মেরুকরণ করা হচ্ছে। ধর্মীয় মেরুকরণের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি রামনবমী ও হনুমান জয়ন্তীতে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর কথা বলেছেন। দেশজুড়ে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যেই বিরোধী শিবিরের ১৩ টি দল উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এদের মধ্যে রয়েছেন সোনিয়া গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এম কে স্ট্যালিন, হেমন্ত সোরেন প্রভৃতি।

ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শাসক দলকে কাঠগড়ায় তোলার পাশাপাশি শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত এইদিন এমএনএস প্রধান রাজ থাকরেকের বিরুদ্ধেও মুখ খুলেছেন। সংবাদ মাধ্যমের কাছে তিনি বলেছেন, মহারাষ্ট্রেও এক হিন্দু ওয়াইসি হনুমান জয়ন্তীর শান্তিকে ভঙ্গ করতে চেয়েছিলেন। তার অভিযোগ, সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর জন্য মোদী সরকার‌ই আসাউদ্দিন ওয়াইসিকে কাজে লাগিয়েছিলো এবং মহারাষ্ট্রে ধর্মীয় মেরুকরণ তৈরি করবার জন্য হিন্দু ওয়াইসিকে কাজে লাগানো হয়েছে।

২০২৪ এর আগে মোদী বিরোধী শিবিরের এইভাবে একজোট হওয়া এবং তাতে তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতি বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। এখন এই মহাজোট মোদী-শাহের সাম্রাজ্যে কতখানি ফাটল ধরাতে পারে সেটাই দেখার বিষয়।

Related Articles