দেশপ্রেমের নজির!সেনায় যোগ দিতে পারেননি বলে সেনাদের জন্য বিনামূল্যে খাবার দেন নিজের ধাবায়!
অসংখ্য মানুষ আছেন যারা বাইরে গেলে ধাবায় খেতে পছন্দ করেন। রাস্তাঘাটে যাওয়া-আসার পথে তাই পথের ধারে অসংখ্য ধাবা ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠে। সম্প্রতি রাইসেন জেলার বারি শহরে হাইওয়ের একটি ধাবা সেনাবাহিনীর গাড়ি থাকার কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই সেই ধাবাতে সেনাবাহিনীর গাড়ি ও ট্রাক দাঁড়াতে দেখা যায়। এইখানে প্রতিদিন যে সেনাবাহিনীর গাড়ি ও ট্র্যাক দাঁড়ায়, তার পিছনে দুটি কারণ আছে।
ধাবাটি হাইওয়ের একদম পাশে থাকা যেমন সেনাবাহিনীর গাড়ি ও ট্রাক দাঁড়ানোর একটি কারণ। তেমনি অপর একটি কারণ হলো সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পাওয়া খাবার। হ্যাঁ এই ধাবাতে সৈনিকদের জন্য প্রতিদিন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাবার তৈরি করা হয়। বিনামূল্যে খাবার পাওয়ার জন্য সৈনিকরা প্রায় এখানে দাঁড়ান। কিন্তু কেন সৈনিকদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হয় এখানে? তার পিছনে রয়েছে একটি গল্প। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই গল্পটি।
এই ধাবাটির যিনি মালিক তার জীবনের স্বপ্নই ছিল সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশের সেবা করার। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার সুযোগ না পেয়ে তিনি ধাবা খোলেন। ধাবা খোলার সময় তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে এইখানে সেনাদের বিনামূল্যে খাবার দেওয়া হবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাজ করেছেন তিনি। তাই হাইওয়ে দিয়ে যাওয়ার সময় সেনাবাহিনীর গাড়িগুলির বেশিরভাগই এই ধাবাতে এসে থামে।
ধাবার মালিক অরবিন্দ চৌহানের আবেগ দেখে সকলে বিস্মিত হয়েছেন। সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশ সেবা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন বলে তিনি দেশ সেবা করার স্বপ্ন ভোলেননি। ধাবা খুলেও যে দেশসেরা করা যায় তাই প্রমাণ করলেন তিনি। বারি শহরের বাসিন্দা অরবিন্দ চৌহানের কথায়, ছোটবেলা থেকেই সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশকে রক্ষা করার ইচ্ছা ছিল তার কিন্তু বারবার চেষ্টা করেও যখন তিনি সেনাবাহিনীতে নির্বাচিত হতে পারেননি তখন তিনি ধাবা খোলার সিদ্ধান্ত নেন, চার মাস আগে শুরু হওয়া এই ধাবাতে সৈন্যরা খাবার খেতে আসেন। প্রচুর সংখ্যক সৈন্য ধাবাতে খাবার খেতে আসেন।
অরবিন্দ এই ধাবা সম্পর্কে বলেন, আমরা আমাদের বাবা-মা এবং সামরিক ভাইদের ঋণ কখনো শোধ করতে পারব না। বাবা মা আমাদের জন্ম দেন কিন্তু সৈন্যরা শত্রুর হাত থেকে আমাদের রক্ষা করে। এই কথা মাথায় রেখে বাবার নামে ধাবা চালু করি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জব্বলপুর দিয়ে প্রতিদিন অনেক সেনা গাড়ি যায়। দিনে পাঁচ থেকে আটটি সেনাবাহিনীর গাড়ি সেখানে আসে।