আর বিনামূল্যে করা যাবে না টুইট! টুইটারের মালিক হয়েই নতুন নিয়ম জারি করলেন ইলন মাস্ক!
টুইটারের কার্যপ্রণালী নিয়ে বরাবরই মনের মধ্যে অসন্তোষ ছিল তার, তিনি দাবি করেছিলেন যে মানুষের বাক স্বাধীনতা খর্ব হচ্ছে টুইটারে। সেই ব্যক্তির নাম ইলন মাস্ক। বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ধনকুবের এই মানুষটি টুইটারে স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার কারণ হিসেবে টুইটারের একাধিক মালিক থাকার বিষয়টিকেই তুলে ধরেছিলেন। তবে এখন আর তার অসন্তোষ প্রকাশের কোন জায়গা নেই কারণ একাধিক জনের মালিকানায় আর টুইটার নেই। মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের মালিক এখন তিনি স্বয়ং। বলা যেতে পারে টুইটারে এখন একচ্ছত্র রাজ তার।
দীর্ঘদিন ধরে চলা জল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষমেষ মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার কিনে নেন ইলন মাস্ক। তারপর মালিক হয়ে টুইটারের নিয়মে আনেন বড়সড় বদল! কী সেই বদল জানেন? গত ২৫ শে এপ্রিল, সোমবার রাত্রে ৪,৪০০ কোটি ডলারের বিনিময় মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটার কিনে নেন ইলন মাস্ক। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ৩ লক্ষ ৩৬ হাজার ৭০২ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা। টুইটারের একচ্ছত্র মালিকানা লাভের পরেই নিয়ম বদলে ফেলেন তিনি। জানিয়ে দেন এবার থেকে আর বিনামূল্যে টুইট করা যাবে না!
Ultimately, the downfall of the Freemasons was giving away their stonecutting services for nothing
— Elon Musk (@elonmusk) May 3, 2022
জানা যাচ্ছে যে এখন থেকে সরকারও সরকার অধিকৃত সংস্থার পাশাপাশি বাণিজ্যিক সংস্থার যে সকল মানুষ টুইটার ব্যবহারকারীরা রয়েছেন তাদেরকে টুইটার ব্যবহারের জন্য টাকা দিতে হবে। তবে তাদের কাছ থেকে খুব অল্প পরিমানে টাকা নেবে এই সংস্থা। এর পাশাপাশি ইলন মাস্ক সাধারণ মানুষদের আশ্বস্ত করে এও জানিয়েছেন যে, সাধারণ ব্যবহারকারীদের জন্য এই মাইক্রোব্লগিং সাইট ব্যবহার করার জন্য কোন রকম খরচ দিতে হবে না অর্থাৎ আগের মতোই বিনামূল্যে তারা টুইট করতে পারবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সংস্থার এখনকার মালিক ইলন মাস্ক ই এই সংক্রান্ত তথ্যটি টুইট করে জানিয়েছেন।
টুইট করে ইলন মাস্ক লেখেন, “সাধারণ মানুষের জন্য টুইটার সবসময় বিনামূল্যে পরিষেবা দিয়ে আসবে। যদিও সরকার ও সরকার অধিকৃত সংস্থা এবং বাণিজ্যিক সংস্থা ব্যবহারকারীদের জন্য টুইটার ব্যবহার করতে অল্প খরচ বহন করতে হতে পারে।” নিয়ম বদলের পাশাপাশি ইলন মাস্ক এও জানিয়েছিলেন যে, তিনি আরো উন্নত উপায়ে মানুষের কাছে টুইটারকে পৌঁছে দেবেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, টুইটারকে আরো উন্নত করবার কথা বলার বিষয় উঠতেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, সংস্থার কার্যপ্রণালীতে বদল আনার জন্য টুইটারের সিইও পরাগ অগ্রবাল এবং আইনি প্রধান বিজয়কে ইরান মাক্সকে হয়ত পদচ্যুত করা হতে পারে, তবে আপাতত ইলন মাস্ক খালি টুইট সংক্রান্ত নিয়মের বদল আনার কথাই বলেছেন।