ননদ বৌদির মধ্যে সুমধুর সম্পর্ক দেখিয়ে সমাজে ইতিবাচক ভাবনা ছড়ানোর জন্য নেটিজেনদের থেকে প্রশংসা পেল জি বাংলার তিনটে ধারাবাহিক ‘খেলনা বাড়ি’, ‘নিম ফুলের মধু’ এবং ‘মিঠাই’
ধারাবাহিক মানেই সেখানে থাকতে হবে খলনায়ক কিংবা খলনায়িকার, গল্পে আরো নতুনত্ব আনার জন্য কিছু কিছু সময়ে উভয়েরই প্রয়োজন হয় ধারাবাহিকে। এই খলনায়ক খলনায়িকারা আবার বেশিরভাগ সময়ে হয়ে থাকে মুখ্য চরিত্রেরই বাড়ির সদস্য বা সদস্যা। তেমন বাড়ির বউয়ের শত্রু হয় তাঁর শাশুড়ী, কিংবা জা আবার কখনো ননদ। তবে জি বাংলার এই তিনটি ধারাবাহিকে ফুটে উঠল ব্যতিক্রমী এক ছবি।
কথা হচ্ছে সন্ধ্যা ছ’টার ‘মিঠাই’, সাড়ে ছ’টার ‘খেলনা বাড়ি’ এবং রাত আটটার ‘নিম ফুলের মধু’র। ‘নিম ফুলের মধু’তে পর্ণা বিয়ে হওয়ার পর থেকে সৃজনের বাড়িতে আসার পর উঠতে বসতে শুনেছে নানা কথা, তবে এই সবকিছুর মাঝে পর্ণা তার পাশে পেয়েছিল ঠাম্মি এবং তার ননদ বর্ষাকে।
‘খেলনা বাড়ি’ ধারাবাহিকেও দেখা গিয়েছে একই ছবি, দাদাভাই ইন্দ্র অর্থাৎ মিতুলের স্বামীর প্রাণ বাঁচাতে, নিজের অসুবিধার সময়েও কখনো মিতুলের সঙ্গ ছাড়েনি ননদ কলি, মিতুলও তেমনি বড় দিদির মতো সবসময় সাহায্য করেছে কলির।
আর ‘মিঠাই’ ধারাবাহিকের কথা না বললেই নয়, শুরু থেকেই মিঠাই তাঁর দুই ননদকেই কাছে টেনে নিয়েছে, মিঠাইয়ের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য-টাই এমন ছিল। তবে তাও সিদ্ধার্থ নিখোঁজ হওয়ার পর যেভাবে নীপা এবং শ্রী মিঠাইয়ের পাশে ছিল, এখন আবার মিঠাইয়ের স্মৃতি হারানোর পর যেভাবে দুই বোন চেষ্টা করছে তা প্রশংসা পাওয়ারই যোগ্য। বাস্তবেও এই তিন অভিনেত্রী খুব ভালো বন্ধু।
জি বাংলার এই তিনটি ধারাবাহিক নিয়ে তাই একজন লিখলেন “জি বাংলা সিরিয়াল মানেই ননদ বউদির মধ্যে দেখা যায় সুন্দর মিষ্টি একটা সম্পর্ক যা মন ছুঁয়ে যায়। যেমন মিঠাই, শ্রী ও নীপা, মিতুল- কলি আর পর্ণা ও বর্ষা দুর্দান্ত বন্ডিং সবার মধ্যে। একে অপরের পাশে সবসময় থাকে ওরা, সব ননদ বউদির মধ্যে সম্পর্ক এভাবেই মিষ্টি হয়ে থাকুক”।