বাংলা সিরিয়াল

মিতালী সাত বছর আগে খুন করেছিল প্রভাকর কে! সব সত্যি সামনে এলো ঐশানীর!তবে কি এবার নতুন ঝড় উঠবে হরগৌরী পাইস হোটেলে?

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘হরগৌরী পা‌ইস হোটেল’। এই ধারাবাহিকে প্রথম থেকে দেখানো হয় যে শংকর আর ঐশানী দুজন ভিন্ন মেরুর মানুষ তাদের পরিস্থিতি ও ভাগ্য এক করে দিয়েছে। সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর দুই মানুষ বিবাহ চক্রে এক বন্ধনে আবদ্ধ হয়, প্রথমদিকে ঐশানী এই বিয়েটা মেনে নিতে না পারলেও পরবর্তীকালে সে শংকরকে ভালোবেসে ফেলে। শঙ্কর ঐশানীকে প্রত্যেকটা ক্ষেত্রে ভীষণ রকম ভাবে সাপোর্ট করে, ঐশানী যখন তার গর্ভবতী দিদিকে শ্বশুর বাড়িতে আনার সিদ্ধান্ত নেয় তখন শংকর বলে যে, আমার দিদি বোন এখানে থাকতে পারলে আমার স্ত্রীর দিদি কেন থাকতে পারবে না?

একবার শাড়ি পরে সাইকেলে করে যাওয়ার জন্য ঐশানী পড়ে যায় তখন বাড়ির সবার বিরুদ্ধে গিয়ে শঙ্কর বলে যে, আমার বাড়ির বোনেরা যদি চুড়িদার করতে পারে তাহলে তুমি কেন চুড়িদার করতে পারবে না। ঐশানী আর শঙ্করের জীবনে বারবার বাধা সৃষ্টি করেছে বড় বৌদি মিতালী, কিন্তু সব ক্ষেত্রেই শঙ্কর-ঐশানীর পাশে থেকেছে আর সব ক্ষেত্রেই পাশে থেকেছে ঐশানীর শাশুড়ি।

সম্প্রতি ঐশানীর জীবনে এসেছে নতুন একজন, সে ঐশানীর বন্ধু। রাস্তায় পাগল গোছের একজন মানুষকে খাবার চাওয়ার জন্য মার খেতে দেখে ঐশানী তাকে ঘোষ বাড়িতে নিয়ে আসে ঘোষ বাড়িতে আনার পরে সবাই তাকে প্রভাকর রূপে অর্থাৎ মিতালীর স্বামী এবং শঙ্করের বড় দাদা রূপে চিনতে পারে, কিন্তু সবাই তাকে চিনতে পারলেও মিতালী তাকে নিজের স্বামী রূপে মানতে রাজি নয়। এর কারণ এতদিনে খোলসা হলো।

সম্প্রতি একটি প্রোমো তে দেখাচ্ছে যে ঐশানী প্রভাকরকে জিজ্ঞেস করছে, সাত বছর আগে তোমাকে কে মেরেছিল বন্ধু? তখন তার বন্ধু একটি ছবি আগে এবং সেখানে একটি মেয়ের ছবি আঁকে, এরপর ঐশানী কিছু বুঝতে না পেরে তাকে মিতালির ছবি দেখায় তখন প্রভাকর হ্যাঁ বলে। সব সত্যি জানতে পেরে চমকে যায় ঐশানী। তবে কি এবার নতুন কোন ঝড় আসতে চলেছে ঘোষ বাড়িতে?

Related Articles