বাংলা সিরিয়াল

“আমার একেবারেই বাঁচার আশা ছিল না। তবে ফিরে এসেছি” – মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরে এসেছেন অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু, আপাতত আবার কাজে মজে যেতে চান তিনি

ছোটোবেলা থেকেই অঞ্জনার স্বপ্ন ছিল অভিনয় করার। রক্ষনশীল একান্নবর্তী পরিবারের মেয়ে ছিলেন অভিনেত্রী। বিয়ের পর তিনি পাটনায় চলে গিয়েছিলেন। কিন্তু কিছু পরেই তিনি কলকাতায় ফিরে আসেন, এবং অভিনয়কেই বেছে নেন নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে। ছোটো পর্দা থেকে শুরু করে ছায়াছবি, সব জায়গাতেই নিজের ছাপ রেখেছেন তিনি, এমনকি রাজনীতিতেও দেখা গেছে তাঁকে।

‘বধূবরণ’এ ছোটোমা এবং ‘বিজয়িনী’র মতো বিখ্যাত ধারাবাহিকে শাশুড়ী মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করছেন তিনি। ‘বধূবরণ’ সসম্মানে শেষ হলেও ‘বিজয়িনী’র ক্ষেত্রে তেমনটা হয়নি বলেই জানান তিনি। শাসকদলের নিশানায় এই ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে গেছে এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এমনকি ‘বিজয়িনী’র পর দু’বছর কাজও পাননি একথাও জানান তিনি। তবে তারপরেই চলে আসলো করোনা, যা তিলে তিলে শেষ করছিল অঞ্জনার শরীর এবং জীবন দুটোই।

অঞ্জনা জানান তিনি দু’বার কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার কোভিড ধরা পড়লে তখন জানা যায় ডেঙ্গিও রয়েছে তাঁর। অভিনেত্রীর অভ্যন্তরীণ অঙ্গ যেমন – কিডনি, ফুসফুস নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। অতিরিক্ত চিন্তা এবং শরীর দূর্বল হয়ে পড়াতে তাঁর শরীরে ঘনিয়ে আসে মধুমেহ রোগ (Diabetes)। এখানেই শারীরিক অবস্থার অবনতি থেমে থাকেনি।

তিনি আরো জানান, তাঁর জরায়ুতে দেখা দিয়েছিল একটি বিশাল টিউমার। সেই টিউমারটিও অপারেশন করে বের করা হয়েছিল শরীর দূর্বল থাকাকালীনই। তখনই অভিনেত্রী ভেবেছিলেন তিনি হয়ত আর বাঁচবেন না, আশা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন। তবে এখন সে সবকিছুকে ভুলে গিয়ে আবারও পুরোনো ছন্দে ফিরে এসেছেন তিনি, একথা ভেবেই তিনি খুশি। হাসপাতাল থেকে ফিরে যথেষ্ঠ বিশ্রাম নিয়ে তিনি পুণরায় কাজে ফিরেছিলেন।

জি বাংলার ‘পিলু’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে কামব্যাক করেন তিনি, সেখানে ‘মণি মা’ চরিত্রে দর্শকদের বেশ ভালোই লেগেছিল অঞ্জনাকে‌। সম্প্রতি তাঁকে দেখা গেছে হইচইয়ের ‘দিলখুশ’ ছবিতে, রাহুল মুখার্জি পরিচালিত এই ছবি ভালোই লেগেছে সকলের।

Related Articles