‘সিঁদুর কাঠা ভাঙলে যে কাঁচ ভাঙার মতো শব্দ হয় এই প্রথম জানলাম!’-উড়ন্ত সিঁদুরকে টাটা বলে অগ্নি রক্ত দিয়ে সিঁদুর দান দেখে বলছেন নেটিজেনরা!
কালার্স বাংলা জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফেরারি মন এ দেখা গিয়েছিল যে বড়ো লোকের, অত্যন্ত বেপরোয়া প্রকৃতির ছেলে অগ্নি দেব বর্মন পড়াশোনা না করেও টিচাররা তাকে বেশি বেশি নাম্বার দেয় কারণ কলেজটা তার বাবার। এই ছেলেটির প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে আসে তুলসী। কলেজে আসার পরে সেই হয় কলেজের ফার্স্ট গার্ল স্বাভাবিকভাবেই অগ্নি এবার তুলসীর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জড়িয়ে পড়ে।
তুলসীকে কিছুতেই হারাতে না পেরে তাকে পথের কাঁটা মনে করে তার নামে মিথ্যে ভিডিও তৈরি করে অপবাদ রটায়, যাতে সবাই অগ্নির সাথে তুলসীর সম্পর্ক আছে মনে করতে থাকে। এই মিথ্যা অপবাদকে বুদ্ধি দিয়ে ঘোচানোর জন্য তুলসী নিজেই নিজের সিঁথিতে সিঁদুর দান করে অগ্নির বাড়িতে যায় এবং তারপর সেখানে গিয়ে নিজেকে অগ্নির বিবাহিত স্ত্রী প্রমাণ করতে শুরু করে। অগ্নি তো কোন মতেই এই বিয়ে মানবে না এবং তুলসীকে বিয়েও করবে না তাই সে নানান রকম কার্যকলাপ করতে থাকে।
এমনকি তুলসীকে পথ থেকে সরানোর জন্য অন্য একজন মেয়েকে বিয়ে করবার জন্য ঠিক করে নেয় কিন্তু সেই বিয়ের রাত্রেই তুলসী পৌঁছে যায় বিবাহ মণ্ডপে আর তারপর অগ্নিকে বিয়ে করতে বাধ্য করে তাকে। যেহেতু অগ্নি ইচ্ছাকৃত বিয়ে করতে চায় নি, তাই বিয়ের সিঁদুর দান করবার সময় দেখা যায় যে সিঁদুর দানের কাঠা অগ্নির হাতের চাপেই ভেঙে গেছে আর অগ্নির হাত রক্তাক্ত সেই রক্ত তুলসীর সিঁথিতে পড়ছে, এরপর তুলসী বলে অগ্নিদেব বর্মন কিনা শেষমেষ রক্ত দিয়ে আমার সিঁথি রাঙালো এরপর অগ্নি বাধ্য হয় তুলসীকে সিঁদুর পরাতে।
তুলসী এরপর সিঁদুর পড়ে বলে, আজ আমি জিতলাম, নিজের গায়ের থেকে সমস্ত কলঙ্ক ,অপবাদ মুছতে পারলাম।আজ আমি তুলসী দেব বর্মন হলাম।
অন্যদিকে এই এপিসোড দেখে দর্শকরা বলছেন, যত সব উল্টোপাল্টা ব্যাপার কাঁচ ভাঙ্গার মত শব্দ করে কিনা সিঁদুর কাঠা ভেঙে যাচ্ছে।ভাবা যায়!
View this post on Instagram