বাংলা সিরিয়াল

দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এসে সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জির কাছে প্রথমবারের মতো কেঁদে উঠলেন ঐন্দ্রিলা শর্মার মা শিখা শর্মা, সাথে উপস্থিত ছিলেন ঐন্দ্রিলার দিদি ঐশ্বর্যও

নভেম্বর মাসে মায়ের কোল ছেড়ে তারাদের দেশে পাড়ি দিয়েছিলেন মেয়ে ঐন্দ্রিলা শর্মা। তারপর থেকে মেয়ের স্মৃতি মনে করেই প্রত্যেকদিন মন কেঁদে ওঠে অভিনেত্রীর কাছের মানুষদের। পাঁচ মাস কেটে গেলেও এখনো স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে যেতে পারেননি তাঁরা, পারবেনও না হয়ত। ছোটো মেয়ে ছিল ঐন্দ্রিলা, ডাকনাম মিষ্টি, বাড়িতে ছোটোরাই যেমন সবথেকে আদরের হয়, মিষ্টিও ছিল তেমনই আদরের।

২০২২ সালকে হয়ত শর্মা পরিবার কখনোই ভুলতে পারবেন না। তবে আবারও মিশে যেতে হবে সকলের সাথে, জীবন কখনো থেমে থাকতে পারে না। তাই মুখে হাসি নিয়ে শিখা শর্মা বড় মেয়ে ঐশ্বর্যকে নিয়ে (ডাকনাম মিতুল) তাঁরা চলে এসেছেন দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে। শেষবারের মতো শিখা শর্মাকে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল খবরের চ্যানেলগুলিতে। তারপরে প্রথমবার ক্যামেরার সামনে আসেন তাঁরা। এসে মেয়েকে নিয়ে বলতে গিয়ে আবারও অঝোরে কেঁদে ওঠে মায়ের মন।

ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে অনেক গল্প শোনান তিনি। পরিবারের সকলেই চিকিৎসার সাথে যুক্ত, তবে ছোটো মেয়ে ঐন্দ্রিলা বরাবরই হতে চেয়েছিলেন অভিনেত্রী। দিদি চিকিৎসকের পথ বেছে নিলেও মিষ্টি হতে চেয়েছে বড় মাপের অভিনেত্রী। দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে এসে এমনটাই জানান অভিনেত্রীর দিদি ঐশ্বর্য। জানান আমি দিদি হলেও ওই যেন আমার দিদি ছিল, সবসময় এমনই হাবভাব ওর। দিদির কথায় বোঝাই যাচ্ছে কতটা বড় ধাক্কা ছিল তাঁর বোন এভাবে চলে যাওয়ায়, বোন শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকলে এককথায় চোখে হারাতেন তাঁকে।

বৃহস্পতিবার দিদি নাম্বার ওয়ানে এসে সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জিকে জানান এই মঞ্চে ছোটো মেয়েকে নিয়েই আসার কথা ছিল শিখা দেবীর। তবে সেইদিন আসার আগেই এমনটা হবে তিনি কখনোই ভাবতে পারেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখনো মেয়ের স্মৃতিতেই বেঁচে আছেন তিনি, সম্প্রতি ২০শে এপ্রিল মেয়ের ছবি পোস্ট করে লিখলেন, “আজ ৫ মাস হল তুমি আমাদের একেবারে একা করে দিয়ে চলে গিয়েছো। সবসময় মনে হচ্ছে আজই সেই দিনটা, তোমাকে ছাড়া থাকতে পারছি না মানিক। তুমি চলে এসো”।

 

Related Articles