বাংলা সিরিয়াল

‘ফুলকে সারা জীবন ভালোবেসে অঙ্কুর শাস্তি পাবে আর লালন কষ্ট দিয়েও সুখ পাবে এটা মেনে নেওয়া যায় না! অঙ্কুর চরিত্ররা সবসময় অবহেলার শিকার’-ধুলোকনায় অঙ্কুর চরিত্রকে নিয়ে সিমপ্যাথেটিক গ্রাউন্ড তৈরি হয়েছে নেটিজেনদের মনে!

আর দুই পর্ব পরেই শেষ হয়ে যাবে ধুলো কণা। কিন্তু এই ধারাবাহিকের শেষে গিয়ে নায়ক লালন নয় বরং অঙ্কুরের জন্য খারাপ লাগছে দর্শকদের। দর্শকরা চাইছেন না লালনের সাথে মিল হোক ফুলঝুরির, কারণ লালন স্মৃতি ফিরে আসার পরেও দীর্ঘ সময় তিতিরের কাছে ছিল, এখন সে যতই বলুক যে সে একটা ঘোরের মধ্যে ছিল কিন্তু এই ঘোরটা দর্শকদের কাছে ক্লিয়ার নয়। লালন যখন ফুলঝুরির কাছে ছিলো না, তখন ফুলঝুরির কাছে ছিলো অঙ্কুর। এই সময় অঙ্কুরকে এতটাই ভাল দেখানো হয়েছে এবং প্রথম থেকে অঙ্কুরকে এতটাই ভাল দেখানো হয়েছে যে দর্শকরা মনে প্রাণে চাইছেন অঙ্কুরের সাথে ফুলের মিল হোক। দর্শকদের আরও বক্তব্য যে এমনটা না দেখালে অঙ্কুর চরিত্রের প্রতি অবিচার করা হবে।

একজনের নেটিজেন যেমন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন,“
অঙ্কুর :- তোমাদের বিয়েটা একদিন দাঁড়িয়ে থেকে আমিই দিয়েছিলাম.. এবারও না হয় আমিই সব ঠিক করবো..

কতটা কষ্ট চেপে রেখে এটা বললো ছেলেটার সাথে সুবিচার হলো না শেষ অবধি.. ফুলের জীবনে সব সময়ে পাশে থেকেও, ভালোবেসেও.. আজ হেরে গেল.. ”

আরেকজন আবার লিখেছেন যে,“ ((অঙ্কুর দের সাথে কখনো সুবিচার হয় না))

অঙ্কুর এর মতো মানুষ যারা নিজের সুখ গুলো অন্যের জন্য বলি দেয়/Sacrifice করে…
নিজের থেকেও বেশি ভালোবাসার মানুষের চাওয়া টা কে গুরুত্ব দেয়
তাদের কাছ থেকে গোটা পৃথিবী শুধু নিজের সুবিধা গুলো বুঝে নেয় মাত্র..
এই যেমন গতকাল সব শেষেও লালন কে বললো “তোমাদের বিয়েটা একদিন দাঁড়িয়ে থেকে আমিই দিয়েছিলাম.. ((মুহূর্ত স্তব্ধ হয়ে)).. এবারও না হয় আমিই সব ঠিক করবো ”
ফুল সব জেনে বুঝেও দূরে সরে থাকলো… আর লালন তো কি অনায়াসে বলেই দিলো “তিতিরকে বিয়ে করবে অঙ্কুর দা” এটা জানার পর ও যে ও ফুল কেই ভালোবাসে
আসলে এখন তিতিরের প্রতি করা অন্যায় গুলোকে শুধরোতে চাইছে তাই অঙ্কুর এর ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে..
ভীষণ খারাপ লেগেছিল কাল এই মুহুর্ত গুলো
শেষ পর্যন্ত এতটা ভালোবেসেও ওই দূরে সরে যেতে হবে হয়তো
এরকম শেষ আশা করিনি… বরাবরই এই চরিত্র টা অসামান্য ছিল
শেষে সেই সবাই নিজের নিজের সুবিধা বুঝে নেবে ওর থেকে…
কাল অন্তিম পর্ব… কাল নয় অঙ্কুর বা লালনের সাথে মিল দেখাবে… নাহলে ফুলের একা পথ চলা দেখাবে… আর নাহলে ফুল কিছু একটা করে বসবে ভুল কারণ লালনের ফিরে আসা ও accept করতে পারেনি আজও আর তার পাশাপাশি অঙ্কুর এর সাথে বিয়ে দিতে চায় বাড়ির সবাই এটা জেনে গেল
অঙ্কুর এর এই এক তরফা ভালবাসা টা মনে থেকে যাবে সব সময়ে শেষ টা ফুল অঙ্কুর এর মিল দিয়ে হলে ভালো হতো
অঙ্কুর সারা জীবন ফুলকে ভালোবেসেও শাস্তি পেলো আর লালন এতো কষ্ট দিয়েও সুখ পেলো সেটা মানা যাচ্ছে না”

Related Articles