মিঠি-মিঠাই মুখোমুখি! মিঠাইকে মনোহরাতে ফিরে আসতে মিষ্টি অনুরোধ মিঠির, ‘আমি শাক্যর টিউটর’! জটিলতা সৃষ্টি না করেই সবটা বুঝিয়ে দিল মিঠাইকে
জি বাংলা(Zee Bangla)র অত্যন্ত জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাই(Mithai)।এখনো পর্যন্ত পুরোনো ধারাবাহিকগুলির মধ্যে মিঠাই একমাত্র। দীর্ঘ দুই বছরের যাত্রা পথ পেরিয়েও এর জনপ্রিয়তা এতোটুকু কমেনি। বরং যতদিন এগিয়েছে সামনের দিকে ততই জানো আরে বেশি করে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই ধারাবাহিক। টিআরপি তালিকা যে কথাই বলুক না কেন এটাই সব সময় দর্শকদের মন জয় করে এসেছে দর্শকদের কথা ভেবেই গল্প এগিয়েছে।
যদিও মাঝে মিঠাইকে সরিয়ে মিঠিকে হাজির করেছিলেন লেখিকা। কিন্তু সেই চরিত্রটি এত সুন্দর ভাবে সামনে এনেছিলেন দর্শকদের যে তাকে না ভালোবেসে পারেননি কেউ। মিঠাই মারা যাবার পর যখন মিঠি এসেছিল তখন অনেকেই ভেবেছিলেন সেই হলো মিঠাই। প্রতিশোধ নিতে ফিরে এসেছে। আবার অনেকে ভেবেছিলেন মিঠাই হয়তো আর ফিরবে না। মিঠির সঙ্গেই শেষ হবে এই ধারাবাহিক। বিশেষ করে সিদ্ধার্থ এবং মিঠির বিয়েটা হওয়ার পর যেন দর্শক আরো বেশি করে সেই সত্যিটাই মেনে নিচ্ছিলেন।
কিন্তু যখন থেকেই দাবি উঠতে থাকে মিঠাইকে ফিরিয়ে আনার তখনই সকলের কথা রেখে গল্পের নায়িকাকে ফিরিয়েছেন ধারাবাহিক নির্মাতারা। আর তারপরেও অকারণে কোন জটিলতা সৃষ্টি করেনি মিঠি এবং মিঠাইয়ের মধ্যে। বড় মিঠি যেন নিজের কোন পুরোনো বন্ধুকে সাহায্য করছে। যেমন ভাবে মোদক পরিবার আর সিদ্ধার্থকে কোন কিছুর বিনিময় ছাড়াই নিজের প্রানের ঝুঁকি নিয়ে সাহায্য করে চলেছে বেশি করে দর্শক মিঠিকে ভালোবেসেছেন।
এবার যখন মিঠি এবং মিঠাই মুখোমুখি হল তখনো তাদের কথা শুনে মন গলে গিয়েছে দর্শকদের। বিশেষ করে মিঠি যখন মিঠাইকে বলছে এবার মনোহরাতে ফিরে এসো। পাশাপাশি যখন মিঠাইকে বলল ‘আমি শাক্যর টিউটর’ তাতে আরও বেশি খুশি দর্শক। কারণ মিঠি চাইলেই নিজেকে সিদ্ধার্থের স্ত্রী বলতেই পারতো। কোন একটা জটিলতা সৃষ্টি করতেই পারতো। কিন্তু সে সব কিছু না করে নিঃস্বার্থে নিজের জায়গা ছেড়ে দিয়েছে। মিঠাইয়ের মতোই মিঠি সত্যি মিষ্টি।
View this post on Instagram
