ন্যাকামির চূড়ান্ত! এতদিন নায়ককে পাওয়ার জন্য মাথা ঠুকতো নায়িকারা, এখন উল্টোটা করছে ভিকি! ড্রামাবাজ হিরোকে শুরু হলো চরম ট্রোল
স্টার জলসা(Star Jalsha)য় বেশ কিছু মাস আগে শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক বাংলা মিডিয়াম(Bangla Medium)। যার মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করছেন জি বাংলার জনপ্রিয় জুটি নীল ভট্টাচার্য (Neel Bhattacharya)এবং তিয়াসা লেপচা(Tiyasha Lepcha)। এর আগে কৃষ্ণকলি ধারাবাহিকে দেখা গিয়েছিল তাদেরকে। কিন্তু দর্শকরা এতটাই পছন্দ করেন এই জুটিকে তাই কিছুটা তাদের কথা ভেবেই আবার এই জুটিকে ফিরিয়ে এনেছে স্টার জলসা।
তবে পুরনো জুটিকে ফিরে পেলেও এবারে ধারাবাহিক খুব একটা ভালো ফলাফল করছে না টিআরপি তালিকাতে। বরং প্রতিনিয়ত সমালোচনার সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাদের। শুরুতেই ধারাবাহিকের নায়িকা ইন্দিরাকে ট্রোল করেছিলেন দর্শক। এবার হিরোকে ট্রোল করলেন।
সম্প্রতি ধারাবাহিকে দেখা গেছে ভিকির ঠাকুমা জোর করে ইন্দিরা সঙ্গে তার বিয়ে দিয়েছে। প্রথমে এই বিয়ে কেউই মেনে নিতে পারেনি। কিন্তু হঠাৎ করেই গল্পের নায়ক এই বিয়েকে প্রাধান্য দিতে শুরু করেছে। কিন্তু পরে বোঝা যায় নাটক করছে সে ইন্দিরাকে শিক্ষা দিতে। ইন্দিরা জবে থেকে কলকাতায় তাদের স্কুলে তোর জন্য এসেছে তখন থেকেই একটার পর একটা দুর্নীতি ফাঁস করে চলেছে সে। অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ করতে জানে না, ইন্দিরা।
এছাড়া যবে থেকে সে শিক্ষকতা করতে এসেছেন এই ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে তবে থেকেই বিভিন্নভাবে অপমান করেছে ভিকি এবং তার বোন সুহানা। তবে দুর্নীতি ফাঁস করলে যে স্কুলের অনেক বদনাম হয়েছে তার জন্য ভিকি প্ল্যান করে ইন্দিরাকে শিক্ষা দিচ্ছে। তাই সে হঠাৎ করেই তার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে এবং তাকে বউ হিসেবে মেনে নিচ্ছে সকলের সামনে। যাতে সে তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু ইন্দিরা ও তাকে খুব একটা বিশ্বাস করতে পারছে না। কারণ তার কথায় নেশা করিয়ে বিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে সেটাকে সে বিয়ে বলে মানেই না। কিন্তু ভিকি হাল ছাড়ে না কিছুতেই। সেই ইন্দিরাকে বিশ্বাস করাতে অন্য প্ল্যান নিয়েছে যে সে তার প্রতি দুর্বল।
ধারাবাহিকে কতকালের পর্বে দেখা গেছে স্কুলের দুর্নীতির জন্য ভিকির মেজ কাকাকে এরেস্ট করিয়েছে ইন্দিরা। তার সঙ্গে নাম যুক্ত রয়েছে ভিকি এবং তার দিদিও। তবে ছাত্র ছাত্রীদের অভিভাবকেরা তাদের নাম করেননি শুধুমাত্র তার মেজ কাকার নাম করেছেন। এরপরে অভিভাবকদের মধ্যে ছদ্মবেশে ভিকি গিয়ে ইন্দিরা কে বাচ্চাদের কিডন্যাপের জন্য অ্যারেস্ট করার মধ্যে চক্রান্ত করেছিল সেটাও ইন্দিরা বুঝতে পেরে গেছে। যে কারণে সে আর তাদের বাড়ি থাকতে চাই নি। আর যখন সে ওই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসলে তখন তাকে আটকাতে চেষ্টা করছিল ঠাম্মি আর ভিকির বাবা। কিন্তু কোন কথাই শোনেনি যে।
অবশেষে ভিকি বাড়ি আসে এবং ইন্দিরাকে স্কুলে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ি থেকে যেতে দিতে চায় না। কিন্তু ততক্ষণে ইন্দিরা ভিকির সমস্ত কাণ্ডকারখানা বাড়িতে ফাঁস করে দেয়। পাশাপাশি জানিয়ে দেয় এই বিয়েটা সে বিয়ে বলেই মানে না। তারপরই পরবর্তী পর্বে দেখা যায় ইন্দিরাকে আটকানোর জন্য মাথা ঠুকেঠুকে রক্ত বের করছে এবং অজ্ঞান হয়ে গেছে। যা দেখে সমালোচকরা নড়ে চড়ে বসেছেন। কারণ এত ভালো ট্রোল করার ছেড়ে দিতে পারেন নাকি। সঙ্গে সঙ্গে মুখর হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। অনেকে এমনটাও বলেছেন এতদিন ধরে নায়িকা মাথা ঢুকতো নায়কদের জন্য। এবার নায়করা এমনটা করছে। শুধু তাই নয় গল্পের নায়ককে ‘ড্রামা কুইন ভিকি স্যার’ পর্যন্ত বলেছেন।
