এই সোমবার, অর্থাৎ আগামী ৪ঠা মার্চ থেকে স্টার জলসায় সন্ধ্যে সাড়ে সাতটায় আসছে নতুন ধারাবাহিক বঁধুয়া। এই ধারাবাহিকের জন্য স্টার জলসার অপর জনপ্রিয় ধারাবাহিক সন্ধ্যা তারা শেষ হয়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বঁধুয়া ধারাবাহিকের প্রোমো দিয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, ধারাবাহিকের নায়ক পেখমকে ভালোবাসে কিন্তু সে তার মনের কথা কখনো পেখমকে বলতে পারে নি।
তার পরিবারের লোক জোর জবরদস্তি করতে থাকলে শেষমেষ পেখমের নাম বলে ধারাবাহিকের নায়ক। এরপর সবাই মিলে পেখমকে দেখতে যায় কিন্তু পেখম এই বিয়েতে রাজি নয়। পেখমের মা এবং তার বাড়ির লোক তাকে বোঝাতে শুরু করে সম্বন্ধটা ভালো, না করার কোনো মানেই হয় না।
সকলের জোরাজুরিতে শেষমেষ রাজি হয় পেখম কিন্তু বরের সাথে বেড়াতে যাওয়ার মুহূর্তেও দেখা যায় সে রীতিমতো অস্বস্তি বোধ করছে। নিজের মনের কথা সে ফ্রি লি বলতে পারছে না। একসময় নিজের বর কে সে বলেই দেয় মনের কথা কত সহজে বলতে পারেন তাই না? কিন্তু সব মনের কথা কি সবাই বলতে পারে ?
না সবার সহ্য হয়? কি কথা মনের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছে পেখম? ইতিমধ্যে ধারাবাহিকের দ্বিতীয় প্রোমো দিয়েছে যেখানে দেখা যাচ্ছে পেখম একজন সাংবাদিক হতে চাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে যায় তার সাথে এমন কিছু ছোটবেলায় অন্যায় হয়েছে যে অন্যায়ের শাস্তি দিতে চায় সে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“চলুন দেখে নেওয়া যাক কেমন হতে চলেছে জলসার আসন্ন ধারাবাহিক বধূয়ার গল্প :
পেখম ছোটবেলায় যৌন হয়রানির শিকার হয়!
পরিবারের সকলে মান সম্মানের কথা ভেবে সেটা চেপে যায় এবং পেখম কে বলে ভুলে যেতে কালো অতীত!
পেখম কে নিয়ে অন্য এক পাড়ায় চলে আসে পেখমের পরিবার!
সে পাড়াতে থাকে আবির!
আবিরের বয়স তখন ১৮/১৯
প্রথম দেখা থেকে ভালোবেসে ফেলে পেখমকে!
কিন্তু কাওকে বলে উঠতে পারে নি!
যখন বিয়ের কথা হয় বাসায় আবিরের তখন সে জানায় সে পেখম কে পছন্দ করে!
পারিবারিক সম্মন্ধে ওদের বিয়েও হয়!
পেখম অতীতে সে ঘটনার পর থেকে একাকী হয়ে যায় ফলস্বরূপ তার একাকিত্ব বেশি আপন হয়ে উঠে!
কিন্তু আবিরের ফ্যামিলি যৌথ পরিবার সেখানে তার মানিয়ে নিতে বড্ড কষ্ট হয়!
সে ভাবে আবিরের সাথে বাহিরে থাকার কিন্তু বলে উঠতে পারে না!
আবিরের পরিবার পেখমে কে ভুল বোঝে!
কিন্তু বাড়ির বউ হিসেবে এখনকার মানুষ শিক্ষিত মেয়ে চায়!
একটা মেয়ে শিক্ষার দ্বারগ্রস্থ হলে তার নিশ্চয়ই বন্ধু বান্ধবী থাকে!
তাদের সাথে পেখম একসময় আড্ডা ঘোরাঘুরি করতো!
বিয়ের পরে কি সব কিছু ভুলে সংসার কে আপন করা যায়?
বাবার বাড়ি তে ফেলে আসা স্বাধীনতা কি শ্বশুর বাড়িতে অপরাধ?
এমনই বাস্তবভিত্তিক এক গল্প বলতে চলেছে সুশান্ত দাস!
যেখানে আধুনিক মেয়েদের এক বাড়ির বউ হিসেবে তার প্রতিও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বোঝাপড়া,সম্মান থাকাটা খুব দরকার!
এমনই এক অসাধারণ গল্প বুনন হচ্ছে ”
