বাংলা সিরিয়াল

কোথায় মৌরি, কোথায় ফুলঝুরি! আজও স্টার জলসায় মানালি আছেন কিন্তু ‘ধুলোকণা’ বউ কথা ক‌ও-এর জনপ্রিয়তাকে টেক্কা দিতে পারল না!-আক্ষেপ দর্শকমহলের!

বর্তমানে প্রচুর ধারাবাহিক আসছে আর যাচ্ছে টিআরপির ওপর নির্ভর করে আছে কোন ধারাবাহিক কত মাস টিকবে? যেমন তিন মাসের মধ্যেই টিআরপি কম পাওয়ার কারণে শেষ হয়ে গেল বৌমা এক ঘর ধারাবাহিক, সাড়ে নটা স্লট উদ্ধার করতে না পেরে দর্শকদের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েও শেষ হয়ে গেল অন্যরকমের ধারাবাহিক লালকুঠি। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন এক একটা ধারাবাহিক দু’বছর তিন বছর ধরে চলতো অবশ্যই সেই সকল ধারাবাহিক বিপুল জনপ্রিয় ছিল!

আগেকার দিনের সেই সমস্ত ধারাবাহিক গুলির মধ্যে জনপ্রিয় ধারাবাহিক ছিল তিথির অতিথি, বন্ধন, দুর্গা, খেলা,নানা রঙের দিনগুলি, মোহনা, ওগো বধূ সুন্দরী আর বৌ কথা ক‌ও। বর্তমানে মানালি দে স্টার জলসার ধূলোকণা ধারাবাহিকে অভিনয় করছেন, কিন্তু আজও দর্শকের মনে অমলিন হয়ে আছে মৌরি নিখিলের জুটি। অমলিন হয়ে আছে বউ কথা কও ধারাবাহিকের স্মৃতি।

একজন নেটিজেন বউ কথা কও এর জনপ্রিয়তা কতটা ছিল এর তা লিখতে গিয়ে স্মৃতিচারণা করে বলেছেন ২০১০ সালে স্টার জলসায় সন্ধ্যা ৭ টার রাজত্ব ভাঙতে একতা কাপুর তেরে লিয়ে ধারাবাহিকটি এনেছিলেন, তেরে লিয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেলেও বউ কথা ক‌ও এর জনপ্রিয়তাকে তা টেক্কা দিতে পারেনি, “সাল ২০১০. বলিউডের একতা কাপুর ষ্টার প্লাসে তার সিরিয়াল ‘তেরে লিয়ে’ এর প্রমোশনে এসে ইন্টারভিউয়ে বলেছিলেন – “আমি পশ্চিমবাংলায় জলসার সন্ধ্যে সাতটার স্লটের রাজত্ব ভাঙতে এসেছি।”

তার সিরিয়ালও খুবই জনপ্রিয় হয়, কিন্তু তিনি
ষ্টার জলসার যুগান্তকারী সিরিয়াল বৌ কথা কও এর রেকর্ড এর ধারেকাছেও যেতে পারেননি। সন্ধ্যে সাতটা মানেই তখন ষ্টার জলসা। সন্ধ্যে সাতটা মানেই তখন বৌ কথা কও।

সন্ধ্যে সাতটা বাজলেই ঘরে ঘরে শুরু হয়ে যেত এই সিরিয়াল। মা কাকিমারা তো বটেই, এমনকী বাবা-কাকারা, যারা সন্ধ্যেবেলা কাজ থেকে ফিরতো, তাদেরও প্রিয় হয়ে গেছিল এই সিরিয়াল। আমরা ছাত্রছাত্রীরা সারাদিন মন দিয়ে পড়াশোনা করতাম যাতে সন্ধ্যেবেলা বৌ কথা কও দেখার পারমিশন পাই।

মানালি দে তার সারল্য, উচ্ছ্বাস আর অভিনয় দিয়ে সারা বাংলার মন জয় করে নিয়েছিল ডেবিউ সিরিয়ালেই। নিখিল-মৌরীর নাম তখন মানুষের মুখে মুখে। এছাড়া সিরিয়ালের অন্যান্য চরিত্রও ভীষণ জনপ্রিয় হয়েছিল। ষ্টার জলসাই শুধু নয়, বাংলা সিরিয়ালের ইতিহাসে বৌ কথা কও এর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।”- এই বক্তব্যকে সমর্থন করে আরেকজন আবার লিখেছেন, কোথায় মৌরি কোথায় ফুলঝুরি!ফুলঝুরি র কথার টোনিং একদম ভালো লাগে না, আর মৌরি ছিলো সবার প্রিয়।

Related Articles