বাংলা সিরিয়াল

লখনউয়ের বাইজি খানায় গিয়ে আটকা পড়েছে পর্ণা, তবে কি আর কখনো সৃজনকে চোখের দেখা দেখতে পারবে না সে? জমজমাট পর্ব ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকের

‘মিঠাই’য়ের মতো মেগাকে তার প্রাইম স্লট থেকে সড়িয়েছিল এই ধারাবাহিক, ‘নিম ফুলের মধু’ সম্প্রচারিত হওয়ার আগে থেকেই মিঠাই ভক্তরা ক্ষেপে ছিলেন। তবে এতদিনে বোঝা যাচ্ছে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ খুব একটা খারাপ সিদ্ধান্ত নেননি। কারণ টিআরপি তালিকায় বরাবরই ভালো ফলাফল করতে দেখা গেছে ‘নিম ফুলের মধু’কে, চলতি সপ্তাহতেও ৭.৪ নম্বর পেয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে সৃজন পর্ণা। মুখ্য ভূমিকায় রুবেল দাস ও পল্লবী শর্মার জুটিও পছন্দ সকলেরই।

ধারাবাহিকের বর্তমান ট্র্যাক বেশ জমজমাট, ছোটকাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তবে সৃজন পর্ণা জানে যে ছোটকা নির্দোষ। আর তাই তাকে জেল থেকে ছাড়ানোর জন্য নিজেরাই মাঠে নেমেছে দত্তবাড়ির ছেলে বৌমারা। প্রমাণ জোগাড় করার জন্য তাদেরকে যেতে হত লখনউয়ের এক বাইজি খানায়। যেমন ভাবা তেমন কাজ, ছদ্মবেশ ধারণ করে সৃজন পর্ণা চলে গেল লখনউতে। তবে ঘটনাচক্রে পর্ণা সেখানেই আটকে গেল সেখানকার এক মেয়েকে সাহায্য করতে গিয়ে। আর তাই বেশ মনমরা হয়ে ছিল সে।

সৃজনের সাথে কি আর তার দেখা হবে না? কি করছে এখন সৃজন? এই সমস্ত ভাবতে ভাবতেই চোখের জল মুছছিল পর্ণা। তখনই যেই মেয়েকে সাহায্য করেছিল পর্ণা সে আসে, আর পর্ণা তাকে বলে সে কোনোমতেই এখানে আটকে থাকতে পারবে না। যেকোনোভাবেই তাকে বেরোতে হবে সেখান থেকে। তাই একটা পিতলের পাত্র নিয়ে দেওয়ার ভাঙার জন্য উদ্যত হয় সে, তবে তাকে সেই মেয়ে আটকে দেয়। পর্ণা তাকে বোঝায় যদি সবাইয়ের মাথা ফাটিয়েই তাকে এখান থেকে পালাতে হয় তবে সে তাই করবে। এবার দুজনে এক হয়ে দরজার দিকে এগোলে অন্য এক বাইজি এসে তাদেরকে বোঝায় আমিও ভেবেছিলাম পালাবো, তবে এই দেওয়াল ভাঙার মতো নয়।

পর্ণা খেয়াল করে এই বাইজি তাদের বাংলা বোঝে এবং খানিক বলতেও পারে। তখন সে ভাবে তিনজন মেয়ে একসাথে হলে তাদের পালাতে সুবিধা হবে। তখন পর্ণার মনে পড়ে আরো একজন সেখানে আছে যিনি কলকাতার, তবে কি আছে কোনো যোগসূত্র? পর্ণা খুবই বুদ্ধিমতী তার পরিচয় আমরা আগেই পেয়েছি, তাই আশা করা যায় পর্ণা এখান থেকেও পালিয়ে বাঁচবে, আর পৌঁছে যাবে তার স্বামী সৃজনের কাছে, নাকি সৃজনও আসবে তাকে বাঁচাতে? দেখা যাবে আগামী পর্বেই। ধারাবাহিকের একজন ভক্ত ১০০০ এপিসোডের দাবি জানায় চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে।

Related Articles