শিশুশিল্পী মিশিতা রায়চৌধুরীর একটিমাত্র ডায়লগ মুগ্ধ করল দর্শকমহলকে, ‘অনুরাগের ছোঁয়া’-র সোনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটপাড়া
টিআরপি তালিকার এক নম্বর ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’, বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই এই ধারাবাহিক তার এক নম্বর স্থানটি ধরে রেখেছে। আর অন্য কোনো ধারাবাহিকের নম্বর এই ধারাবাহিকের আশেপাশেই নেই। ধারাবাহিক সেরা হওয়ার অনেকগুলি কারণ থাকে, যার মধ্যে একটি বিশেষ কারণ হল ধারাবাহিকে শিশুশিল্পীদের অবদান।
ঘরে বাচ্চার একটি অভাব সকলেই মনে করে, মা কাকিমাদেরও বাড়িতে একটি খুবই পছন্দের। ঠিক সেই অনুভূতিটাকেই কাজে লাগান নির্মাতারা। ধারাবাহিক রসকসহীন হতে শুরু করলেই তাতে চলে আসে মিশিতা রায়চৌধুরীর মতো শিশুশিল্পী। ধারাবাহিকের কাহিনীতে কোন ট্র্যাক চলছে তা নিয়ে এদের মাথাব্যথা নেই, শিশুশিল্পীদের একটাই কাজ, পরিচালক যেটা বলছে তা ক্যামেরার সামনে করে দেখানো।
‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিকে সূর্য দীপার মিলন নিয়ে দর্শকরা অপেক্ষায় থাকলেও সোনা রূপার বোনের জুটিও বেশ পছন্দ দর্শকদের। তাঁদের আধো আধো বাংলাতে কথা বলার ধরণ, কথা বলার সময় থেমে থেমে বলাই যেন তাঁদের বাস্তবিকতাকে ফুটিয়ে তোলে। তাঁরা সাধারণ বাচ্চার মতোই ধারাবাহিকেও একটি সাধারণ বাচ্চার মতো অভিনয় করে। মনে রাখা দরকার এই শিশুশিল্পীরা অভিনয় বলতে কিছুই শেখেনি কখনো, তবে তাও কতটা সহজভাবে এত বড় বড় শিল্পীদের সাথে স্ক্রিন শেয়ার করে নেয় তাঁরা।
সোনাকে নিয়ে আবারও কথা শুরু হল সোশ্যাল মিডিয়ায়, তাঁর চোখের চাহনি আর মুখভঙ্গিমা মুগ্ধ করল দর্শকদের। সূর্যদের বাড়িতে গতকাল পূজো ছিল কিন্তু সেই পুজোয় সোনার বন্ধু অর্থাৎ যমজ বোন রূপা অনুপস্থিত, তখন তার মনটা খারাপ হয়ে যায়। এরপরেই তাঁর “বাবা তো কোনো কাজ করছে না” সংলাপে তাঁর মুখের এক্সপ্রেশন প্রশংসারই যোগ্য। “এইটুকু বাচ্চা মেয়ের এত সুন্দর এক্সপ্রেশন দেখে তো আমি তো অবাক”।