বাংলা সিরিয়াল

‘আমার হিরোইন ভাগ্য খুব ভালো’ – টিভির পর্দা থেকে টিআরপি রেটিং লিস্ট সবেতেই জনপ্রিয়তার শীর্ষে ‘অনুরাগের ছোঁয়া’! স্ক্রিনে সূর্য-দীপার মধ্যে দূরত্ব থাকলেও জানেন কী অফ স্ক্রিনে তাঁদের কেমিস্ট্রি কেমন?

বর্তমানে ধারাবাহিক জগতের অন্যতম জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক হলো ‘অনুরাগের ছোঁয়া’। স্টার জলসা থেকে সম্প্রচারিত হওয়া এই ধারাবাহিক বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে টিআরপি লিস্টে প্রথম স্থান অধিকার করছে। এই ধারাবাহিকে সূর্যের চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেতা দিব্যজ্যোতি দত্ত। অন্যদিকে নায়িকা দীপার চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা ঘোষ। ধারাবাহিকের গল্প সূর্য দীপার মধ্যেকার ভালো খারাপ কেমিস্ট্রি আর সোনা-রুপার দুষ্টু মিষ্টি দৃশ্য বেশ পছন্দ করছেন দর্শক। আর তারই প্রভাব দেখা যাচ্ছে টিআরপি লিস্টে। তবে বর্তমানে যারা ধারাবাহিকের দর্শক তারা জানবেন বেশ কিছুদিন ধরেই সূর্য আর দীপার মধ্যে দূরত্ব বেড়েই চলেছে। কিন্তু ক্যামেরার সামনে গল্প অনুযায়ী তাদের কেমিস্ট্রি বানানো হলেও রিয়েল লাইফে তাঁদের কেমিস্ট্রি ঠিক কেমন? জানেন কী? চলুন জেনে নেওয়া যাক।

এক বিশিষ্ট সংবাদ মাধ্যমের তরফে সূর্য দীপা অর্থাৎ স্বস্তিকা এবং দিব্যজ্যোতির সাথে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলা হয়। প্রথমেই সেখানে সূর্য আর দীপা দুজনেই বলে ওঠেন সূর্যদীপ আর জুটি তাঁদের নিজেদেরও খুব পছন্দের। এরপর প্রথম প্রশ্ন করতে গিয়ে স্বস্তিকা নিজেই বলে, ব্যাক টু ব্যাক এতগুলো ধারাবাহিক তারপরেই সূর্য দীপা সেখানেও তিন তিন জন অভিনেত্রী, সূর্য কাকে বেশি পছন্দ করে? যদিও শেষ পর্যন্ত দিব্যজ্যোতি এই প্রশ্নের উত্তর দেননি। স্বস্তিকা নিজেই জানিয়েছেন সূর্য নাকি বলবে তিনি সবাইকেই পছন্দ করে।

তবে পরে দিব্যজ্যোতি নিজেই বলেন, ‘আমার যে কটা সিরিয়াল ছিল আমি সব জায়গায় একটাই কথা বলি, আমার হিরোইন ভাগ্য খুব ভালো। মানে তারা সব সময় আমায় হেল্প করে। স্বস্তিকাও আমায় হেল্প করে। সেটা দেবাদৃতাও হেল্প করত, অন্বেষাও হেল্প করত, শ্রুতি দিও হেল্প করত এখন স্বস্তিকাও হেল্প করে। আমাকে সবাই খুব রেসপেক্ট করে। আমি খুব খুশি এদের সবাইকে কো অ্যাক্টর হিসেবে পেয়ে’।

এরপরই স্বস্তিকা দিব্যজ্যোতি সম্পর্কে বলেন, দিব্যজ্যোতি তাঁর থেকে কাজের দিক থেকে বয়সের দিক থেকে সব দিক থেকেই বড়। তাঁর থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। আর স্বস্তিকাও শিখছেন। এরপরে স্বস্তিকা আসেন সোনা রুপার কথায়। সোনার থেকে রুপা নাকি একটু চঞ্চল ছটফটে। একদম তাঁর চরিত্রের মত। সোনাও তাই খুব মিষ্টি শান্ত।

স্বস্তিকার কথাগুলোর সাথেই দিব্যজোতি বলেন সোনা রুপার বিষয়ে ভাবতে গেলে প্রথমই তাঁর মাথায় আসে পাঁচ বছর বয়সে তাঁরা কী করত আর এই বাচ্চারা কী করছে। তাঁরা সেটে এসে স্কুলের পড়াশোনা করছে, মুখস্ত করছে, সিন পড়ছে। সব থেকে বড় কথা ১২ ঘণ্টা কাজ করছে। তাই দিব্যজ্যোতির মনে হয় ওদের দুজনের থেকে অনেক কিছু শেখার আছে সকলের। পাঁচ বছর বয়সে এত কাজ করা সত্যিই খুব কঠিন। আবার রুপা নাকি একদিন দিব্যজ্যোতিকে বলেছিলেন রুপার কল টাইম না থাকলেও সে চলে আসবে। মানে সে এতটাই কাজ করতে ভালোবাসে।

এরই মধ্যে দিব্যজ্যোতি ঘোষণা করে দেন সামনের সোমবার এবং মঙ্গলবার ডাবল ডাবল ধামাকা পর্ব চলবে। এক ঘন্টা করে মহা ধামাকা এপিসোড হবে। এছাড়াও তাঁরা বলেন সেটে সব সময় শালিক পাখির মত কিচিরমিচির চলতেই থাকে। বিশেষ করে সূর্য ওরফে দিব্যজ্যোতি এতই চঞ্চল যে সে তবে বন্ধুদের কখনো মাথায় চাটি মেরে পালান, কখনো চুল ধরে টানেন। দীপা অর্থাৎ স্বস্তিকা শান্ত হলেও দিব্যজ্যোতি থাকলে সে ব্যাপারটা বেশ চঞ্চল হয়ে ওঠে।

শেষ প্রশ্ন যা দর্শকদেরও থাকে তা হলো সূর্য-দীপা কবে আবার এক হবে। এ প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে দুজনেই বলেন তাঁরা নিজেরাও ভাবেন এই গল্প কবে আসবে। কিন্তু কারণ এখনো পর্যন্ত তাঁরা নিজেরাও সেই গল্পের কোন লাইনার পাননি। শীঘ্রই একটা ড্রিম সিকোয়েন্স আসবে যদিও তারও গল্প এখনো তাঁদের কাছে এসে পৌঁছায়নি। এবং সবশেষে দুজনেই আজকে অনুরাগের ছোঁয়ার এত সাফল্যের জন্য সম্পূর্ন ক্রেডিট দিয়েছেন দর্শককে। তাই তাঁরা বলেন এই একই রকম ভাবেই দর্শক যেন তাঁদের ধারাবাহিককে ভালোবেসে যান।

Related Articles