স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘এক্কাদোক্কা’। এই ধারাবাহিককে দেখা যাচ্ছে যে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন সোনামণি সাহা আর সপ্তর্ষি মৌলিক। এই ধারাবাহিকে তাদের চরিত্রের নাম রাধিকা আর পোখরাজ। তারা দুজনেই হল মেডিকেল স্টুডেন্ট। তবে যেহেতু তাদের পরিবারের মধ্যে একটা দীর্ঘস্থায়ী ঝামেলা রয়েছে, তাই এই ঝামেলা তাদের সম্পর্কের মধ্যেও একটা প্রভাব ফেলেছিল। তাদেরও একে অপরের মধ্যে একটা চাপা রাগ কাজ করতো,তবে এই রাগ ভালবাসায় পরিণত হয়ে যায়। পোখরাজ আর রাধিকা একে অপরকে বিয়ে করে।
বিয়ের পরে রাধিকার ওপর নানা রকম প্রতিবন্ধকতা আসতে শুরু করে কারণ পোখরাজের বাড়ির লোক রাধিকাকে একেবারেই সহ্য করতে পারে না তাই। এমনকি পোখরাজের মা শর্মিষ্ঠা তো রাধিকা কে মেরে মাথা পর্যন্ত ফাটিয়ে দিয়েছিল দুবার। ধারাবাহিকে দেখা যায় শ্বশুরবাড়ির রাধিকার কাছে রীতিমত অসুর বাড়িতে পরিণত হয়, একমাত্র বর ছাড়া সবাই তার সাথে খারাপ ব্যবহার করতো।
এরপর ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে রাধিকা আর পোখরাজের সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। পোখরাজের মনের মধ্যেও রাধিকার প্রতি একটা অবিশ্বাস তৈরি হয় আর রাধিকার মনেও জমতে থাকে অভিমান এই পরিস্থিতির মধ্যে তারা সিদ্ধান্ত নেয় ডিভোর্স করবে।
কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে যে গল্পের মোড় অন্যদিকে ঘুরে গেছে। ধারাবাহিকে দেখানো হচ্ছে রাতে বাড়ি ফিরবার সময় রাধিকা কিছু বকাটে ছেলের পাল্লায় পড়ে, তাদের হাত থেকে রাধিকাকে উদ্ধার করে পোখরাজ সেইসব বকাটে ছেলেদের সাথে রীতিমতো মারপিট শুরু করে দেয় সে। এইভাবে মারপিট করতে গিয়ে পোখরাজের মাথা ফেটে যায় রাধিকা রীতিমতো ভয় পেয়ে যায় পুরো ঘটনায়।
এরপর রাধিকা নিজে পোখরাজকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে পোখরাজ তাকে চলে যেতে বললেও সেখানে ঠাঁই দাঁড়িয়ে থাকে রাধিকা। পোখরাজের বাড়ির লোক না আসা অবধি সে কোথাও যাবে না বলে। এরপর শর্মিষ্ঠা এসে রাধিকাকে দেখে প্রচণ্ড রেগে যায়। কিন্তু রাধিকা জানায় আমি ডাক্তার তাই পেশেন্ট পোখরাজের সাথে থাকার অধিকার আমার রয়েছে।
