বাংলা সিরিয়াল

“এতো পুরো মঞ্জুলিকা লাগছে” – টিআরপি তালিকায় ভালো ফলাফল করতে পারলেও আবারও কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হল ‘গৌরী এলো’ ধারাবাহিককে

বাঙালি দর্শক সোশ্যাল মিডিয়ায় আসার পর থেকেই বেশ স্পষ্টবাদী হয়ে উঠেছে। তাঁদের কোন অভিনেতা অভিনেত্রীকে ভালো লাগে আর কাকে লাগে না, কার অভিনয় সবথেকে ভালো আর কে অভিনয় করতেই পারে না, এসমস্ত মতামতই দর্শকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে থাকেন। সলমান খান, শাহরুখ খানের মতো বিগ টাইমারদেরও ট্রোল করতে পিছপা হয় না সোশ্যাল মিডিয়া। সেখানে বাংলা সিরিয়াল দর্শকদের পছন্দ না হলে তাঁরা মুক্ত মনেই তাঁদের মতামত জানান কমেন্ট বক্সে।

ধারাবাহিক শুরু হওয়ার পরপরই হয়ে গিয়েছিল সেরা, তবে ‘গৌরী এলো’ তার জায়গা টিআরপি তালিকায় করে নিলেও বেশিদিন সেই জায়গা ধরে রাখতে পারেনি। প্রথম থেকেই দেখানো হয়েছে বিজ্ঞানে বিশ্বাসী ডাক্তার ঈশান, ভগবান বলে কেউ আছে একথা বিশ্বাস করে না সে। তবে গৌরী যে কিনা পার্বতীর অংশ, সে ঠিক করে ডাক্তারবাবুকে বিশ্বাস করাবে ভগবানে। ওদিকে ঈশানও মহাদেবেরই অংশ। তবে বর্তমানে গল্পের ট্র্যাক একদমই পছন্দ হচ্ছে না পছন্দ তো হয়ইনি বরং ক্রমেই হাসির পাত্র হয়ে উঠছে ধারাবাহিকের তারকারা।

বর্তমান ট্র্যাকে ঈশান এখন সাধক, আর ওদিকে অভিনেত্রী মোহনা মাইতি সেজে এসেছেন এক যোগিনী। তবে তাঁর মেকআপ দর্শকদের হাসানো ছাড়া আর কিছুই করতে পারেনি। তাকে দেখে ট্রোল শুরু হয়েছিল আগেই, তার বিধবাবেশ ছড়িয়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে তার রেশ এখনো কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই আবারও শুরু ট্রোলিং। যোগিনী সাজ দেখে চেনাই যাচ্ছে না অভিনেত্রীকে।

দর্শকরা বলছেন “যেমন খুশি তেমন সাজো প্রতিযোগিতা চলছে যেন”। তো অন্য একজন অক্ষয় কুমার অভিনীত ‘ভুলভুলাইয়া’ ছবিতে বিদ্যা বালানের চরিত্র মঞ্জুলিকার সাথে তুলনা করেন গৌরীর, লেখেন “গৌরীকে দেখে আমার তো যোগিনী কম, আর মঞ্জুলিকা বেশি লাগছে”। তো আবার কেউ কেউ বলেন, একেবারে জোকারের মতো লাগছে অভিনেত্রীকে।

তবে এত সবকিছু হলেও ধারাবাহিকটি কিন্তু ঠিক দেখছেন দর্শক। নয়ত টিআরপি নম্বর কখনোই ৭.৫ হয় না এত সহজে। তবে হ্যাঁ কটাক্ষের সম্মুখীনও হতে হয়েছে ধারাবাহিকের নির্মাতা এবং তারকাদের। তবে তা কখনোই তাঁদের টিআরপি তালিকায় পিছিয়ে থাকার কারণ হয়ে দাঁড়ায়নি।

Related Articles