বাংলা সিরিয়াল

তেরো বছর বয়সী মেয়ে বিয়ে দিচ্ছে মায়ের! সঙ্গে রয়েছে শ্বশুরও! সব ধারাবাহিকই চেষ্টা করে নতুনত্ব কিছু আনার, তবে কালার্স বাংলার এই ধারাবাহিকের কাছে হার মানবে সবাই

অসমবয়সী ভালোবাসা। এটিই হল কালার্স বাংলার ‘ইন্দ্রানী’ ধারাবাহিকের গল্প। ধারাবাহিকে ইন্দ্রানী আর আর তার থেকে বেশ কয়েক বছর ছোটো আদিত্যর বিয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আর এই বিয়ের প্রধান উদ্দ্যোক্তা হলেন ইন্দ্রানীর বড় মেয়ে তিতলি এবং তার শ্বশুরমশাই।

ধারাবাহিকে ইন্দ্রানীর চরিত্রে অভিনয় করছেন অঙ্কিতা চক্রবর্তী। ‘ইষ্টি কুটুম’ ধারাবাহিকের দীর্ঘ সাত বছর পর আবার কামব্যাক করেন টেলিভিশন পর্দায়। আর কামব্যাক যে খুব ভালো হয়েছে তা ‘ইন্দ্রানী’ ধারাবাহিক নিয়ে দর্শকদের মতামত শুনলেই বোঝা যায়। ধারাবাহিকের নির্মাতাদের প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন জনতা। অসমবয়সী ভালোবাসা বিয়েতে পরিণত পেতে‌ দেখে দর্শকরা বেজায় খুশি।

তাঁরা জানান, ভালোবাসার এত সুন্দর রূপ এই সিরিয়াল না দেখলে পাওয়া যেত না। ভালোবাসায় ধর্ম বর্ণ বয়স বৈষম্য কিছুই দেখা যায় না, সামনের জনকে মন থেকে ভালোবাসা, সম্মান করা, বন্ধুর মতো ব্যবহার করা, এটুকুই প্রয়োজন। যা এই ধারাবাহিকে খুব সুন্দর করে প্রর্দশিত হয়েছে।

তবে এই সবকিছু ছেড়ে দর্শকরা যে বিষয়ের সব থেকে বেশি প্রশংসা করছেন তা হল ইন্দ্রানীর আগের শ্বশুরমশাই আর তার বড় মেয়েকেই যখন দেখা যাচ্ছে বিয়ের সমস্ত জোগাড় যন্ত্র করতে, কার্ড ছাপাতে। তাদের উৎসাহিত অংশগ্রহণ দেখে দর্শকরা বলছেন একজন মা এবং মেয়ের কাছে এর থেকে বড় কিছু আর হতে পারে না, ইন্দ্রানীর শ্বশুরমশাই তাকে নিজের মেয়ের মতো করেই দেখেন।

এসবের মধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে টলি ইন্ডাস্ট্রির এক নতুন মুখ রাহুল গঙ্গোপাধ্যায়। ইন্দ্রানীর বিপরীতে খুব সুন্দর করে মানিয়ে নিতে পেরেছেন নিজের চরিত্রকে। আর অভিনেত্রী অঙ্কিতা চক্রবর্তীর যত প্রশংসাই করা হোক না কেন তা নেহাতই কম পরে যাবে।

Related Articles