বাংলা সিরিয়াল

সবাইকে নিয়ে কেক কাটতে যাওয়া কাল হলো মৌয়ের! অসহায় মৌ জন্মদিনের দিনেও কি কথা শুনবে বিথীর থেকে? কি হতে চলেছে মেয়েবেলার আগামী পর্বে

স্টার জলসার(Star Jalsha) পর্দায় নতুন শুরু হয়েছে মেয়েবেলা(Meyebela)। গুটি গুটি করে পা চলা শুরু করলেও শুরুর দিন থেকে এই ধারাবাহিক দর্শকদের মনে আলাদাই আকর্ষণ তৈরি করেছে। যার মূলে অবশ্য রয়েছে ধারাবাহিকের সাধারণ গল্পের বুনন। আর বাকি পাঁচটা মধ্যবিত্ত পরিবারে যা ঘটে। ঠিক তেমনভাবেই শুরু হয়েছে এই ধারাবাহিক।

এখানে নায়ক নায়িকার পারফেক্ট ফিগার কিংবা অহেতুক চুল ওড়ানো নেই, নায়ক নায়িকার বিশাল রাজপ্রাসাদের মতো বাড়ি নেই। ঠিক যতটা থাকা দরকার ততটাই রয়েছে সবকিছু। তবে যেটা রয়েছে সেটা হল এক একজনের অভিনয়। যা দিয়ে দর্শকদের প্রথমদিনেই ঘায়েল করেছে মেয়েবেলা নির্মাতারা।

ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী মৌ মা বাপ মরা এক মেয়ে। যে মাসি মেসোর গলোগ্রহ হয়ে রয়েছে। মাথা তুলে কথা বলার অধিকার পর্যন্ত নেই তার। পড়াশোনা করে কিন্তু সেটাও নামমাত্র। ধারাবাহিকের সাম্প্রতিক পর্বে দেখা গিয়েছে মৌয়ের মেসো বাড়ির জন্য ইলিশ মাছ কিনে আনলে ইউনিভার্সিটি যাওয়ার পথে তাকে ডেকে আনে মাছ রান্নার জন্য। অথচ তার পাতে জুটেছে ছোট্ট একটা পিস। সেটা অভিমানে তুলে রাখে মৌ।

খাবার খাওয়ার পর মাসি মেসোর পাত থেকে এটোকাটা তুলতে বাধ্য করে তাকে। কিন্তু তার বলার কোন অধিকার নেই। কিছু বললেই থাকা খাওয়ার খোটা। কিন্তু মৌকে ভালোবাসে বাড়ির মালিকদের পরিবারের সবাই শুধু বিথী বাদে। তাই মৌয়ের জন্মদিনে ডোডো, টিটো এবং তাদের বোন সবাই মিলে কেক নিয়ে আসে, জন্মদিনের পার্টি এরেঞ্জ করে। ভিডিও কলে ছিল চাঁদনী এবং মৌয়ের মাসতুতো ভাই যে মাসি মেসোর সংসারে মৌয়ের একমাত্র সহায়।

কিন্তু কেক কাটার শব্দ এতটাই জোরে হতে থাকে যে বিথীর কান পর্যন্ত পৌঁছোয় সেটা। সে ছাদে এসে দেখে কেক কাটার পর মৌ ডোডোকে গালে ক্রিম লাগিয়ে দিচ্ছে। আর ঠিক তখনই মৌয়ের হাত চেপে ধরে বিথী। এরপর কি হতে চলেছে মৌ এর সঙ্গে? জন্মদিনের দিনেই কি বড় রকমের অপমান হতে চলেছে তার? জানতে গেলে দেখতে হবে মেয়ে বেলা প্রতিদিন সন্ধ্যে সাড়ে সাতটায় স্টার জলসার পর্দায়।

Related Articles