বাংলা সিরিয়াল

‘প্লাম্বার এসেছে তাতেও ডোডোর মৌকে চায়!কোথাও একটা প্রেম প্রেম গন্ধ পাচ্ছি’অতীত ভুলে কাছাকাছি মৌ ডোডো মেয়েবেলার প্রশংসায় পঞ্চমুখ দর্শক!

যে কোনো ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে দেখা যায় যে নায়ক অথবা নায়িকার পূর্বের একটা প্রেম থাকে আর সেই প্রেম ভুলে নতুন সম্পর্কে জড়াতে তাদের দুজনের‌ই দীর্ঘ সময় লেগে যায়, কিন্তু সেই দিক থেকে মেয়েবেলা প্রচন্ড বাস্তবসম্মত ধারাবাহিক। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, রেজিস্ট্রি ম্যারেজের কিছুক্ষণের পরই মৌয়ের প্রথম স্বামী অমিতাভ মারা যায় আর ১২ বছরের প্রেম চাঁদনীকে ভুলে ঘটনাচক্রে ডোডোকে বিয়ে করতে হয় মৌকে, কিন্তু বিয়ের পর মৌ আর ডোডো দুজনেই বিষয়টাকে ভীষণ স্বাভাবিকভাবে নিয়েছে, অতীত নিয়ে দীর্ঘ সময় ঘ্যানঘ্যান প্যান প্যান না করে তারা অতীতটাকে ভুলে নতুনভাবে শুরু করেছে। কখনো যদি ভুলক্রমে ডোডোর মুখ থেকে চাঁদনীর নাম বেরিয়েছে তাহলে ডোডো ক্ষমা পর্যন্ত চেয়েছে মৌ এর কাছে, দুজনের মধ্যে কোনরকম ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হলে ডোডো চেয়েছে সব সময় সবটা খুলে বলে সমস্ত ভুল বোঝাবুঝির অবসান করতে। এইখানেই মেয়ে বেলা ধারাবাহিক ব্যতিক্রম।

অন্যান্য ধারাবাহিকের মতো নায়ক নায়িকার মেঝেতে শোয়া দেখানো হয়নি এখানে, নায়ক নায়িকার ইতস্তুত বোধ ভাঙতে বছর গড়ানো হয়নি, বরং অল্প কিছুদিনের মধ্যেই দেখা গেছে দুজন দুজনের সম্পর্কে সহজ হচ্ছে, তারা দুজনেই এই বিয়েটাকে দাম্পত্য টাকে মধুর করার দিকে নজর দিয়েছে। সেই কারণেই মৌয়ের কিছু হলে ডোডো সবার আগে ছুটে যায় আর ডোডোদাকে মিথ্যে বলায় সুবোধের বিরুদ্ধে নালিশ পর্যন্ত ঠুকে দিয়েছে মৌ, দুজনেই কোথাও না কোথাও গিয়ে একে অপরের প্রতি দুর্বল হচ্ছে।

সম্প্রতিক কালের পর্বে দেখা যাচ্ছে যে, আম্মার গয়না চুরির ক্ষেত্রে প্লাম্বার ডেকে ডোডো মৌকে ডেকেছে আবার ধূর্যটি বাবা গয়না চুরির জন্য মৌ কে চোর বলায় ডোডো রেগে ফায়ার।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন,
“সবকিছুতেই মৌ আর মৌ
প্লাম্বার এসেছে, তাতেও মৌকে এনার চাই
ধুজ্যুটি বাবা মৌকে indirectly চোর বলায় আবার মৌ এর ডোডো দাআআআআআআআআআ রেগে ফায়ার
গন্ধ পাচ্ছেন?? আমি তো পাচ্ছি, কেমন একটা প্রেম প্রেম গন্ধ ”

Related Articles