বাংলা সিরিয়াল

‘বীথির সাইকো গিরি, মৌয়ের ইনসিকিউরিটি,ডোডো চাঁদনীর ঘনিষ্ঠতা নিয়ে টিআরপি ম্যাটেরিয়াল গল্প লিখছে মেয়েবেলা! মা কাকিমারা এই গল্প গিলবেন’মেয়ে বেলার নতুন প্রোমো নিয়ে বলছেন দর্শক!

স্টার জলসার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’তে দেখা যাচ্ছে যে, মৌ এর থেকে যখন নির্ঝরকে কোনমতেই আলাদা করতে পারছে না বিথী,তখন‌ই সে একটি নতুন পরিকল্পনা করে, সে মৌ এর সাথে তার ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে নেয় আর অন্য দিকে চাঁদনী আর ডোডোর ভালো মতো ব্রেন ওয়াশ করে, যাতে মৌকে ছেড়ে দেয় ডোডো আর চাঁদনীও ডোডোকে আঁকড়ে ধরে। সে এমন প্ল্যান করে যাতে মৌ আর ডোডোর সম্পর্ক ভেঙে যায় কিন্তু কেউ তাকে সন্দেহ না করে।

মেয়েবেলার নতুন প্রোমোতে দেখা যাচ্ছে যে, চাঁদনী নির্ঝর কে বলছে, একি অবস্থা নির্ঝর! পুরো ভিজে গেছে তো? এই বলে তার মাথা মুছিয়ে দিচ্ছে- অন্যদিকে এই ঘটনা দেখে কাঁদতে কাঁদতে চলে যাচ্ছে মৌ, তখন বীথি মৌকে এসে বলছে, নিজের অধিকার ছেড়ে দিস না মৌ, যা ডোডোর সামনে গিয়ে দাঁড়া- তারপর মৌ যাই এবং ডোডোকে বলে, তোমার প্রতি আমার সব সম্মান শেষ, তখন ডোডো বলে তুই আমাকে ভুল বুঝিস না মৌ। এরপর মৌ ডোডোর সাথে ঝগড়া করতে করতে ওর জামাটাই ছিঁড়ে ফেলে।- এই প্রোমো দেখে দর্শকদের মধ্যে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া এসেছে। একজন লিখেছেন,“মেয়েরাই কি মেয়েদের শত্রু!! মেয়েবেলার concept এটাই ছিল may be. তাই বিথীর মধ্যে negative shades আসা টা স্বাভাবিকই ”

আরেকজন আবার লিখেছেন,“এসব দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না!!
এত ভালোভাবে শুরু হয়ে সিরিয়ালটার এখন এসব কি করছে??
বিথী মানুষ হিসেবে ভালো না বুঝতে পেরেছিলাম। তারপরও কোথাও গিয়ে মাঝেমাঝে মনে হতো ও হয়তো এতটাও নিচু হবেনা।কিন্তু আজ যা দেখলাম এরপর আর কিছু বলার ভাষা নেই আমার।।।
আর চাঁদনি ক্যারেক্টরটার এই অবস্থা কেন?সামান্য আত্মসম্মানবোধও নেই নাকি ওর?
আদরের বিথী কাকিমার কথায় চলে এসে,কাউকে না জানিয়ে ডাক্তার নিয়ে এসে তো দেখলো টিকলির এই অবস্থা হলো।এরপরেও এই বাড়িতে রাতে কিভাবে থাকতে পারে???মুখে বলছে আরেকজনের সংসার ভাংবে না,ওই ঘরে থাকবে না, অথচ সবকিছুই করছে।নিজের কোনো বোধ বুদ্ধি নেই ওর!!!

যাক,দুঃখ একটাই! ভেবেছিলাম এই সিরিয়ালটা বাকিগুলোর মতো হবেনা।সবার অভিনয়ও অনেক ভালো লাগছিল তাই অল্প কয়েকদিনেই ভালোবেসে ফেলেছিলাম।সরি,বলতে বাধ্য হচ্ছি যে আজকের এপিসোড দেখার পর আসলেই অন্যান্য সিরিয়ালগুলোর থেকে আলাদা বলে মনে হচ্ছেনা।”

কারোর লেখায়,“যেটা ভেবেছিলাম সেটাই হবে..বিথীর সাইকোগিরি আর brainwash-এ প্রভাবিত হয়ে চাঁদনী একদিন নেভেটিভ হবেই হবে.এখন থেকেই চাঁদনী চরিএটা নষ্ট হওয়া শুরু হয়ে গেছে..মিশকা বা রোহিনীর মতো খু*নি villain না হলেও নেভেটিভ shades আসবে চরিএে(মৌ-এর আগের বিয়ে নিয়ে বিথী আর চাঁদনী অনেক কিছু করবে)
আর বিথী day 1 থেকেই সাইকো..ওনার মনের মতো কিছু না হলেই বিপরীত মানুষটা খারাপ..ছেলের প্রতি ভালোবাসার থেকে প্রখর অধিকারবোধ..আর সত্যি বলতে এরকম চরিএ খুবই বাস্তব..সবাই নিজেদের বাস্তব জীবনে বিথীর মতো একটা পিস নিশ্চয়ই দেখেছে নিজেদের পরিবারে বা আশেপাশে..এরকম অনেক ছেলের মা আছে যারা এসব করে.একমাএ সন্তানের ক্ষেএে এটা আরও বেশি দেখা যায়..
যাইহোক বিথী একদিন দেখে হোক বা ঠেকে হোক নিজের ভুল বুঝতে পারবে..একদিন বিথীর উওরন হবে কিন্তু সেটা করার আগে চরিএটাকে অত্যাধিক নীচে না নামায়..”

কেউ বলছেন,“বীথির এই নেগেটিভ শেড মা কাকিমারা গিরবেন আর টি আর পি বাড়বে”

Related Articles