টিআরপির ক্ষেত্রে একটা কথা ভীষণভাবে প্রচলিত সেটা হলো, আজ যে রাজা, কাল সে ফকির, ধারাবাহিকের ক্ষেত্রেও এই কথাটা সমানভাবে বলা যায়। ধারাবাহিকের কোন একটি বিষয় নিয়ে দর্শকরা যখন মাত্রাতিরিক্ত হারে ট্রল করে তারপর যদি কখনো সেখানে ধামাকাদার কিছু দেখায় তখন সেই দর্শকরাই আবার ধারাবাহিক নিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন। ঠিক যেমনটা হয়েছে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিলির ক্ষেত্রে।
মিলি ধারাবাহিকে প্রথম দিকে দেখানো হয়েছে মিলি একটি ন্যাকা বোকা টাইপের মেয়ে, বয়স হলেও যার আচরণগুলো মারাত্মক রকমের ছেলে মানুষী!
মিলির এই আচরণের কারণে দর্শক এই চরিত্রটা নিয়ে ট্রোলিং শুরু করেন, একইভাবে নায়ক চরিত্রে নবাগত অভিনেতা কে দেখে প্রথম প্রোমো দেখার পরেই অনেকে ট্রোলিং করেন।
কিন্তু আজ সিংহভাগেরও বেশি মানুষ মিলি ধারাবাহিক নিয়ে প্রশংসায় মুখর! কারণ মিলি চরিত্রের ড্রামাটিক চেঞ্জ, সহজ সরল ন্যাকা বোকা ছেলে মানুষ মিলিকে যেভাবে স্ট্রং বোল্ড করে তুলে ধরা হয়েছে তা দর্শককে মুগ্ধ করেছে, দ্বিতীয় কারণ হলো অর্জুন চরিত্রটিকে অভিনেতা অনুভব কাঞ্জিলাল যে এতটা সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হবে তা হয়তো কেউ কল্পনাও করতে পারেন নি, কিন্তু অর্জুনের মত এরকম একটি কঠিন চরিত্র যখন অভিনেতা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তখন দর্শক তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“মিঠাই এর সিড মিঠাই কাপল এর পর এই প্রথম আমার কাছে একটা কাপল ভালো লাগল মিলি অর্জুন এর কাপল। মিলি অর্জুন এর chemistry টা খুব ভালো লাগছে। স্টোরি টা খুব ইউনিক। বিশেষ করে আজকের এই মোমেন্টটা খুব ভালো লেগেছে। অর্জুন আর মিলির স্টোরিটাও খুব ইউনিক ভাবে প্রেজেন্ট করা হচ্ছে।
নায়কের চেহারাটা আগে ভালো লাগতনা কিন্তু নায়কের Acting খুব সুন্দর। নায়কটাকেও আর খারাপ লাগেনা। মিলি আগে প্রচন্ড নেকা ছিল কিন্তু এখন ওর নেকামিটা কমেছে। সবমিলিয়ে ওদেরকে খুব ভাল লাগছে।দেখে মনে হচ্ছে এখন ওদের বিয়েটা হবেনা। কিন্তু ওদের বিয়েটা যখন হবে ধামাকাদার হবে।”
কারোর কথায়,“একদম!যারা মিলি দেখেছে তারা এটা বলতে পারবেনা যে হিরো অভিনয় জানেনা!
অনুভব কাঞ্জিলাল ওরফে অর্জুন একজন দারুন অভিনেতা! ওর অভিনয় খুব রিয়েলস্টিক!
আমার ও সিড মিঠাই এর পর এই অর্জুন চরিত্র আর অভিনয় দারুন লাগলো!”
কেউ বা বলেছেন,“নায়ক কে যে পার্ট টা দিয়েছে সেখানে সে সফলভাবে অভিনয় করছে”
