বাংলা সিরিয়াল

“সামনে থেকে মোটা পেছন থেকে একেবারে কোয়েল মল্লিক” – মোটা হওয়া নিয়ে মজা করায় দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চে মজার ছলেই সবাটে জবাব দিলেন “মিস জোজো”

মিস জোজো, বাংলা গানের জগতের অন্যতম এই নক্ষত্রকে মানুষ কোনদিনও ভুলতে পারবেন না। তাঁর গানের জনপ্রিয়তা আজও দর্শকমহলে বিদ্যমান। তবে আপনারা জানেন কি জোজো একজন অত্যন্ত শক্তিশালী গায়িকা হলেও, তিনি বেশ মজার মানুষ। নিজের আশেপাশের মানুষরা তো বটেই এমনকি নিজেকে নিয়ে মজা করতেও থেমে যাননা জোজো। বহুবার বহু জায়গায় তাঁর এই মজার মানসিকতার পরিচয় পাওয়া গিয়েছে।

তবে আবারো একবার জি বাংলার জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে জোজোকে দেখা গেল এই রূপে। যদিও জোজো আজ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে দিদি নাম্বার ওয়ান এর মঞ্চে উপস্থিত হয়েছিলেন। এখন শুধুই তাঁর সেই পুরনো ভিডিওটি আবার ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে দিদি নাম্বার ওয়ান এর সঞ্চালিকা রচনা ব্যানার্জীর সাথে মজায় ব্যস্ত রয়েছেন শক্তিশালী গায়িকা মিস জোজো।

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে জোজোর আগের চেহারা আর এখনের চেহারা নিয়ে মজা করছেন রচনা। আর তখনই জোজো বলে ওঠেন তিনি বাড়ি যেতে চান। এই নিয়েই হাসিতে ভরে ওঠে দিদি নাম্বার ওয়ানের মঞ্চ। রচনা শুধুই বলেছিলেন এখনের জোজো আর আজ থেকে ২০ – ২২ বছর আগের জোজর মধ্যে বিস্তর ফারাক। এই নিয়ে হাসি মজা করতে করতে তিনি বলেন, তাঁর শারীরিক এই তফাতের একমাত্র কারণ বিরিয়ানি। যেটা তিনি কোন কিছুর বিনিময়তেই ছাড়তে চান না।

এরপরেই জোজ নিজেকে নিয়েই মজার ছলে বলেন, বহরমপুর অথবা মেদিনীপুরে যখন তিনি শো করতে যান তখন প্রচুর মানুষ আসেন তাঁর গান শুনতে। তখন প্রথম সারির মানুষদের কাছে তাঁকে মোটা দেখালেও একদম শেষের সারির মানুষদের কাছে তাঁকে একেবারে কোয়েল মল্লিকের মতই দেখতে লাগে। এই মজার ভিডিওটি যখন তৈরি হয় তখন গানের জগতে ৩৮ বছর পূর্ণ করেছেন জোজো। সেই প্রসঙ্গে নিজের ছোটবেলার বেশ কিছু স্মৃতি ভাগ করে নেন দর্শকদের সাথে।

গানের প্রতি তাঁর ভালোবাসা এবং ছোটবেলার স্মৃতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গায়িকা বাবার কাছে শুনেছিলেন যে তাঁর বাবা যখনই গানের রেওয়াজ করতে বসতেন তখনই ছোট্ট জোজো হামাগুড়ি দিয়ে এসে তাঁর বাবার কোলে বসে সা গাইতেন। তখনই তাঁর বাবা বুঝে গিয়েছিলেন মেয়ে গানের জগতেই পাড়ি দেবে। এরপরে গায়িকা বলেন তিনি দিদার কাছে শুনেছেন যখন মা বাবা শো করতে বাইরে যেতেন তখন ছোট্ট জোজো ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে চিরুনিকে মাইক বানিয়ে গান গাইতেন।

মৌ থেকে মিস জোজো হয়ে উঠেছেন তিনি। বিয়ে হয়ে গেলেও মিস থেকে মিসেস হয়ে ওঠা হয়নি দর্শকমহলে। ব্যক্তিগত জীবন ও কর্মজীবন নিয়ে গায়িকা বলেন তিনি চেয়েছিলেন নিজের হাতে মেয়েকে বড় করতে। তাই কোন পরিচারিকা না রেখে নিজে একা হাতেই বড় করেছেন মেয়েকে। গায়িকা মনে করেন মানসিক দিক থেকে ব্যালেন্স এবং টাইম ম্যানেজমেন্ট করতে জানলে একজন মেয়ে চাইলে ঘরের সমস্ত কাজ সামলে বাইরের জগৎকেও সামলাতে পারে।

Related Articles