মিঠাই শাক্য মিষ্টি এরা তো সবাই উঠছে বাবুর আপন, কিন্তু মিঠি? বন্ধু হয়ে কেউ এতটা সাহায্য করে? মিঠির নির্ভেজাল বন্ধুত্বে মুগ্ধ দর্শক
বাংলা টেলিভিশনের (Bengali Serial)অন্যতম জনপ্রিয় ধারাবাহিক গুলির মধ্যে একটি হলো মিঠাই(Mithai)। একটা সময় টিআরপি তালিকাতে রাজত্ব করত এই ধারাবাহিক। টানা ৫৬ বার বেঙ্গল টপার হয়েছিল। দর্শক বুঁদ হয়ে থাকত মোদক পরিবারকে নিয়ে। সকল আনন্দে শামিল থাকতো বাঙালি দর্শক।
কিন্তু দর্শকদের মনে ঝড় তোলা এই জুটি মিঠাই এবং সিদ্ধার্থ হঠাৎ করে থমকে যায়। দর্শকদের সামনে অন্য এক নাম নিয়ে ফেরে মিঠাই। তার নাম মিঠি। দেখতে এক রকম হলো স্বতঃস্ফূর্ত এবং প্রাণ চঞ্চল একটি চরিত্র। দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছিল। একটু একটু করে যখন মিঠি এবং সিদ্ধার্থের সম্পর্কটা স্বাভাবিক হচ্ছিল ঠিক তখনই তাদের মাঝে আবার ফেরে মিঠাই। আর এতদিন ধরে দর্শকরা যে ভয়টা পাচ্ছিলেন সেটাই হল।
দীর্ঘদিন মিঠাইয়ের থেকে আলাদা ছিল সিদ্ধার্থ। এমনকি তাদের ছেলের একাই খেয়াল রাখত সে। কিন্তু বিশেষভাবে হঠাৎ করেই অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে দেখা হয় তাদের। কিন্তু দেখা হলেও মিঠাই চিনতে পারেনি কাউকে। তার স্মৃতি হারিয়েছে। কিন্তু তাই বললেই কি হয়! সিদ্ধার্থ এবং হল্লা পার্টি বদ্ধপরিকর তার স্মৃতি ফেরাতে। আর এই লড়াইতে দাঁড়িয়েছে মিঠিও।
সম্প্রতি একটি পর্বে দেখা গেছে মনোহরাতে মিঠাই কে আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু তার স্মৃতি হারিয়ে গেলেও সিদ্ধার্থ এবং মিঠি এক অন্য প্ল্যান করেছে। সমস্ত কষ্ট লুকিয়ে মিঠীএবং সিদ্ধার্থকে এক করতে উঠে পড়ে লেগেছে সে। অনেকেই ভেবেছিলেন মিঠি হয়তো তাদের মাঝে ভিলেন হয়ে আসবে। কিন্তু দর্শক মুগ্ধ তার অভিনয় দেখে। আর সেই নিয়ে এক ভক্ত লিখলেন,’ তুমি তোমার চরিত্রকে গভীরভাবে পড়তে জানো। উপলব্ধি করতে জানো। আর তাই কিছু সেকেন্ডের অভিব্যক্তি হাজার কথা কোন শব্দ ছাড়াই তুমি বুঝিয়ে দিতে পারো। আরো বিকশিত হোক তোমার শিল্পসত্বা।Sid আজ আসল কথাটা মিঠিকে জিজ্ঞেস করে বসেছে । Mithai, Sid, Shakyo বা Misti – সবাই Sid এর নিজের লোক, তাই সিডের এতো পরিশ্রম । কিন্তু মিঠি কেন করছে?? ব্যাস্ , সেই মুখে হাসি নিয়ে থাকা মিঠির মুখটা মুহূর্তেই পাথর হয়ে গেল । মিঠি জানে এরা ওর ‘ নিজের ‘ কেউ নয় । তবুও Sid এর ঐ প্রশ্নে মিঠির মুখ ফ্যাকাশে হবার কারণ একটাই – ঐ প্রশ্নের আরেকটা মানে হলো – মিঠিও তাদের কারোর ‘ নিজের ‘ কেউ নয়।
Unfortunately, Mithi never got her desired love. এই মোদক পরিবার ওকে পরিবারের ভালোবাসা শিখিয়েছে , শাক্য, Sid, মিষ্টি – এই মানুষ গুলো ওকে ভালোবাসা নানা রকম, রূপ আর রঙের সাথে পরিচয় করিয়েছে , তাই মিঠিও এদের প্রত্যেককে ভালোবেসেই বিনা দ্বিধায়, কোনো আশা ছাড়াই এতো কিছু করছে, কিন্তু আজ প্রশ্নের আড়ালে সেই সত্য তাকে আঘাত করলো। আসলে মিঠি বুঝতে পারেনি যে কাউকে ভালোবাসলেই তার আপন হওয়া যায় না, তার জন্য রক্তের সম্পর্ক বা সামাজিক সম্পর্ক থাকতে হয় । সে ভেবেছিল যে ভালোবাসাই লোককে আপন করে দেয়। ” মিঠি তো ওদের ‘নিজের’ কেউ নয় “। তবুও মিঠি ওদের সবাইকে আপন ভাবে, নিজের ভাবে । কিন্তু কিসের জোরে ও আপন ভাববে ??? এই প্রশ্নটা সিদ্ধার্থের প্রশ্নের আড়ালে লুকিয়ে ছিল যার উত্তর মিঠির জানা নেই’ ।