বাংলা সিরিয়াল

‘অপরিচিত কেউ মাদার টেরিজা হয়ে সমস্যার সমাধান করে দিলে, বাড়ির বউকে তাড়িয়ে দিতে হবে?’ মিঠাইতে মিঠিকেই পার্মানেন্ট নায়িকা করার প্রতিবাদে মুখর নেটিজেন!

জি বাংলা জনপ্রিয় ধারাবাহিক মিঠাই তে দেখা গেছে মিঠাই মারা যাওয়ার পর বহু বছর কেটে গেছে। এরপর ধারাবাহিকে মিঠাই এর মতো হুবহু দেখতে একটি মেয়ে মিঠি এসেছে। সে মিঠাই নয়, তবে সে সিদ্ধার্থ,শাক্য এবং মনোহরার জন্য অনেক কিছু করেছে। মিঠাই এর খুনিকে ধরবার জন্য নিজে বুক পেতে গুলি পর্যন্ত খেয়েছে। এখানেই শেষ নয়, শাক্যর সাথে সিদ্ধার্থর বন্ডিং ভালো করবার জন্য সব সময় চেষ্টা করে গেছে। কিন্তু সম্প্রতি নতুন একটি প্রোমো দিয়েছে যেখানে দেখানো হচ্ছে যে মিঠাই ফিরে এসেছে। মিঠাই ফিরে আসার প্রোমো দেখার পর দর্শকরা দুই অংশে ভাগ হয়েছেন। তবে বেশিরভাগ মানুষই বলছেন মিঠাই ফিরে আসার পর যদি মিঠির সাথে অবহেলা করা হয় তবে সেটা অন্যায় করা হবে কারণ মিঠি মনোহারা ও সিদ্ধার্থর জন্য কম কিছু করে নি। নিঃস্বার্থভাবে এত কিছু করে কেন সে মিঠাই ফিরে এসেছে বলে তার জায়গা ফেরত দিয়ে দেবে?

সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন মিঠিকে সাপোর্ট করে লিখেছেন,“আমি বরাবরই কৃষ্ণকলির সময় আম্রপালিকে(মামকে) সাপোর্ট করে এসেছি। আর এখন আমি মিঠিকেও সাপোর্ট করছি আর করবোই, ‌
কেন মাম আর মিঠির সাথে এভাবে অন্যায় হবে??
তারা প্রধান নায়িকা নয় বলে??কিন্তু তাঁর প্রধান নায়িকার থেকে কম কি করেছে??কতগুলো দিন থেকে নিঃস্বার্থে সবার জন্য কত কিছুই করে আর যেই মরা নায়িকা ফিরে আসে, অমনি সবাই তাদের সাথে পরিচিতি বদলে দেয়। এতদিন থেকে তারা নিঃস্বার্থে সবার জন্য এত ত্যাগ এতো কিছু করে এলো তার কোন মূল্য নেই???না, ওদের সাথে এত বড় অন্যায় হতে পারে না।

মামের সাথে অন্যায় হবার পর মাম ভিলেন হয়েছিল। আমি সবসময় মামকে সাপোর্ট করেছি আর এখন যদি মিঠির সাথে ও অন্যায় করা হয়, তাহলে চাই মিঠিও ভিলেন হোক। আর প্রতিশোধ নেক।
সবসময় মিঠির প্রতি সাপোর্ট আছে100% ✓”

আরেকজন আবার লিখেছেন যে,“আমি ঠিক এটাই সবাইকে বোঝাতে চাইছি। কিন্তু সবাই আমার ওপর তেড়ে আসছে। সবাই প্রধান নায়িকাকেই সাপোর্ট করছে। যদিও এখন ও পযন্ত নিশ্চিত নই মিঠি আর মিঠাই আলাদা কিনা। কারণ কালই সৌমিতৃশা ig te story দিয়েছিল মিঠি থাকবে। আমার কৃষ্ণকলির টা অত মনে নেই কিন্তু মিঠাই বর্তমানে চলছে বলে মাথায় আছে। মিঠি কি করেনি! নিজের বাবাকে ছেড়ে, জন্মস্থান ছেড়ে পড়ে আছে এই মনোহরায় যেখানে তার পাওয়ার কিছুই নেই। শাক্যর জন্য জীবনের বাজি রেখেছে, সিডের সাথে মিলে মিঠাইয়ের মৃত্যুরহস্য সমাধান করছে, বাবা-ছেলেকে কাছাকাছি এনেছে, সোম-তোষার সম্পর্ক যাতে টেকে সেই চেষ্টা করছে, দাদু-ঠাম্মি যাতে কষ্ট না পায় সেইদিক দেখেছে, আগের মনোহরাকে ফিরিয়ে এনেছে এত কিছু কে করে??? তাও এখন অনেকে বলছে মিঠি কে নাকি অসহ্য লাগছে!! আশ্চর্য!! যে মেয়েটা এতকিছু করেছে তার কি কোন পাওনা নেই?? আমি সর্বদা ভাবতাম মিঠি মিঠাই সত্যি বলতে আমি এখন ও মনে প্রাণে চাই মিঠি মিঠাই হোক । কারণ কোনো মানুষ নিজের পরিবার না হলে এত কিছু করতে পারে না। তবে যদি শেষে দেখি মিঠি মিঠাই আলাদা তাও আমি মিঠি কেই সাপোর্ট করব। ভিলেন হোক আর যাই হোক না কেন।”

অন্য একজন আবার মিঠাই এর সাপোর্টে লিখেছেন,“মিঠিকে কে এতোকিছু করতে বলেছে ভাইই!?? আপনার বাসায় অপরিচিত কেউ এসে মাদার তেরেসা হয়ে আপনার সব সমস্যা সমাধান করে দিলে কি আপনারা তাকে পার্মানেন্টলি বাসায় রেখে দিবেন!? মিঠির কাজের প্রতিদান হিসেবে মনোহরাবাসী তাকে যথেষ্ট ভালোবেসেছে। এবার মিঠি এতো কিছু করেছে বলে কি বাড়ির বৌ/ স্ত্রীকে বাদ দিয়ে মিঠিকে মাথায় তুলে নাচতে হবে!!!?”

আর একজন আবার লিখেছেন,“কৃষ্ণকলিতে মাম এবং মিঠাইতে মিঠি জানে যে বাড়ির সবাই তাদেরকে ভালবাসলেও নিখিল /সিদ্ধার্থ কখনো তাদেরকে ভালবাসবে না সেটা জেনেই তারা বিয়েতে রাজি হয়েছে। তাই তাদের আসল স্ত্রী ফিরে এলে মাম মিঠিদের‌‌ই চলে যাওয়া উচিত”

Related Articles