বাংলা সিরিয়াল

কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে মুম্বাইতে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়েছিল অনেকেই ‘নবাব নন্দিনী’র নন্দিনীকে, এই ইন্ডাস্ট্রিতে থাকতে হলে হাতে মদের গ্লাস আর ক্লাবে যেতে হবে

স্টার জলসায় পরপর দুটি জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘বরণ’ এবং ‘নবাব নন্দিনী’, এই দুটি ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গেছে পুরুলিয়ার ইন্দ্রানী পালকে। ‘বরণ’ ধারাবাহিকের পর বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, তার কিছুদিন পরেই স্টার জলসার ‘নবাব নন্দিনী’ ধারাবাহিকে দেখা যায় ইন্দ্রানীকে, কারণ ভক্তরা তাঁদের পছন্দের তিথিকে মিস করছিলেন। ইন্দ্রানী পালকে লাইমলাইটে উঠে আসার আগে কত স্ট্রাগেল সহ্য করতে হয়েছে তা খোলাখুলি জানালেন একটি সাক্ষাৎকারে।

পুরুলিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী ইন্দ্রানী পাল, বাবার খুব আদরের মেয়ে ইন্দ্রানী। পড়াশোনাতে খুব তুখোড় ইন্দ্রানী, তাই বাবার ইচ্ছা ছিল তিনি পড়াশোনা করে প্রতিষ্ঠিত হন। তবে ইন্দ্রানীর ছোট থেকেই ভালো লেগে এসেছে অভিনয় করতে। একথা তিনি তাঁর বাবাকে জানালে তাঁর বাবা জানায়, তাঁর বিটেক ডিগ্রির চার বছরের মধ্যে তাঁকে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে, নয়ত পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে হবে।

পুরুলিয়া থেকে কলকাতায় এসে মেয়েটি কিছু জানত না কি করবে, তাঁর বাবা তাকে কলকাতায় ছাড়তে চাইনি একা একা। প্রথম প্রথম নানা জায়গায় অডিশন দিয়ে সফল হননি তিনি। এইরকমটা চলে প্রায় দু’বছর। এই দুবছরের মধ্যে ইন্ডাস্ট্রির নানান ওঠাপড়া দেখে নিয়েছিলেন তিনি। কেউ কেউ কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে তাঁকে মুম্বাইতে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখায়। আবার কেউ কেউ তাকে জানায় মডেলিং ওয়ার্ল্ডে ঢুকতে হলে ক্লাবিং করতে হবে, মদ্যপানও জরুরী এক্ষেত্রে।

একথা সকলের জানা যে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কিংবা মডেলিং ইন্ডাস্ট্রি কতটা নোংরা হতে পারে। জনপ্রিয়তা পাওয়ার অনেকদিন বাদে ইন্দ্রানীর মতো নানান অভিনেত্রীরা মুখ খুলেছেন তাঁদের। তেমনি এক অভিজ্ঞতার কথা শোনালেন আপনাদের প্রিয় নন্দিনীও। তাই প্রথম প্রথম অনেক অসুবিধায় পড়েছিলেন ইন্দ্রানী, তবে স্টার জলসায় প্রথম ব্রেক পাওয়ার পর আর পিছনে ফিরে তাকাননি তিনি। এখনকার নতুন এক ট্রেন্ড ধারাবাহিক টেনেটুনে বড় না বানিয়ে তা অল্পের মধ্যে শেষ করে দেওয়া। ‘নবাব নন্দিনী’ও ছিল সেই গোছের এক ধারাবাহিক, মাত্র সাত মাসের মধ্যে এই ধারাবাহিক শেষ হয়ে যায়, তবে সাত মাস যথেষ্ট ছিল দর্শকদের মন জয় করার জন্য।

Related Articles