‘যে ছেলে নিজে ডিম খেয়ে ভয়ে বলে, বউ ডিম খেয়েছে তার বিয়ে করার কোন অধিকার নেই!’- সৃজনের চরিত্র নিয়ে রীতিমতো তুলোধনা শুরু করল নেটিজেনরা!
নিম ফুলের মধুতে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে যে বিয়ের পর রীতিমতো স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে পর্ণার, যৌথ পরিবারের বিয়ে করার তার খুব ইচ্ছা ছিল, কিন্তু যৌথ পরিবারে এসে সে বুঝেছে গল্পের মত যৌথ পরিবার আসলে বাস্তবে হয় না, সেখানে নানান রকম সমস্যা লেগে থাকে।
যেমন বিয়ের পর দেখা যায় পর্নার শাশুড়ি তার সাথে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করছে এবং ছেলেকে রীতিমতো সবসময় আগলে আগলে রাখছে,পর্না কোন কিছু রান্না করে খাওয়াতে গেলে সেটা খাওয়াতে দিচ্ছে না কারণ তার বাবুর নাকি তাতে শরীর খারাপ করবে। অন্যদিকে পর্ণার সাথে ছেলে হেসে কথা বললে বা দাঁড়িয়ে ছবি তুললে সবেতেই প্রবলেম হয়ে যাচ্ছে পর্নার শাশুড়ির।
এখানে আসার পরে পর্নার বডি জেলটা হারিয়ে গেলে পর্না রিয়েলাইজ করে যে যৌথ পরিবারে একটা সাবানই সবাই গায়ে মাখে, এরপর সৃজন তার কাছে ডিম ভাজা খেতে চাইলে পর্না দুটো ডিম ভেঙ্গে একটা ডিম ভেজে দেয়, কিন্তু এই ডিম ভাজা নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড বেঁধে যায় শ্বশুরবাড়িতে, প্রথমে দুটো ডিম কে খেয়েছে তা নিয়ে বাড়ির সদস্যদের মধ্যে ঝগড়া অশান্তি এমনকি মারামারি পর্যন্ত হয় তারপরে ডিম চুরির দায় বাড়ির কাজের লোকের উপর দেওয়া হলে সৃজন অবশেষে মুখ খোলে!
কিন্তু মুখ খুলে সৃজন কী বলে? সৃজন নিজে ডিম ভাজা খেতে চেয়েছিল তা না বলে বলে পর্নার খিদে পেয়েছিল বলে পর্না ডিম ভেজে খেয়ে নিয়েছে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যায় পর্না, বুঝতে পারে না মা সামনে এলে সৃজন কেন এইভাবে বদলে যায়!
এরপর পর্নার শাশুড়ি বলে তোমার খিদে পেতেই পারে তা বলে দুটো ডিম দিয়ে কেন ভাজবে একটা ডিম ভেজে খাবে! এই শুনে পর্না বলে সে বাপের বাড়িতে দেখেছে দুটো ডিম দিয়ে ভাজা হয় তাই ভেজেছে। কিন্তু সবকিছুর উপর সৃজনের ব্যবহারে বিরক্ত হয়ে পড়েছেন দর্শকরাও। একজন নেটিজেন সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন যে,“যে ছেলে নিজে ডিম খেয়ে ভয়তে বলে বউ খেয়েছে
সে ছেলের কোনো অধিকার নাই বিয়ে করার”
