শাশুড়ি বৌমা মানেই ফাটাফাটি! একেবারেই না, পর্দার বাইরেও লাবণ্য-দীপার জুটি সুপারহিট, পর্দার মতোই একে অপরকে চোখে হারান দুজনে
শাশুড়ি- বৌমা একসঙ্গে থাকা মানেই ঝগড়া ঝামেলা অশান্তি। যতই নিজেকে আপন বলুক না কেন বাস্তবে কিন্তু এসব কথার কথা মাত্র। তাদের যুগলবন্দী কখনোই সুখের হয় না। যদিও কিছু ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম দেখতে পাওয়া যায়। কিন্তু সেগুলো অনেকটা ধুমকেতুর মত। আপাত পক্ষে শাশুড়ি বৌমা মানে সাপ আর নেউলের সম্পর্ক। আবহমান কাল ধরে এটাই চলে আসছে।
এখন তো বিভিন্ন সিনেমা, সিরিয়ালেও সেই গল্প উঠে এসেছে। এই যেমন স্টার জলসার এক্কাদোক্কা অথবা জি বাংলার নিম ফুলের মধু। শাশুড়ি বৌমার সম্পর্ক একেবারে ফাটাফাটি। কিন্তু কিছু কিছু ধমকেতু হয়তো ধারাবাহিকের ক্ষেত্রেও দেখা যায়। যেমন স্টার জলসা(Star Jalsha)র অন্যতম ধারাবাহিক অনুরাগের ছোঁয়া(Anurager Choya)। এখানে আবার শাশুড়ি-বৌমা একে অপরকে চোখে হারায়। বৌমা দীপার পাশে সব সময় রয়েছেন শাশুড়ি লাবণ্য। তাদের সম্পর্ক এতটাই সুন্দর এতটাই সহজ।
এই সম্পর্ক শুধু ধারাবাহিক এই যে আটকে রয়েছে এমনটা নয়। বাস্তবেও কিন্তু তার আভাস পাওয়া গেল। সোশ্যাল মিডিয়াতে লাবণ্যের সাথে দীপাকে নাচতে দেখা গিয়েছে। যে ভিডিও(Viral Video) পোস্ট করেছেন লাবণ্য অর্থাৎ অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মৈত্র(Rupanjana Moitra)। সঙ্গে ক্যাপশনে লিখেছেন আমরা মেয়েরা একে অপরের সঙ্গেই থাকবো আর একে অপরকে বুঝবো।
এই দৃশ্য দেখে অবশ্য অনুরাগীরা বেশ খুশি। একজন লিখেছেন কি ভালো শাশুড়ি বৌমার জুটি। মন ছুঁয়ে যায় একদম। অপর একজন লিখেছে বাস্তবেও যদি এমন যুগলবন্দী হত তাহলে কি ভালো হতো। প্রত্যেকেই দুজনের প্রশংসায় পঞ্চ মুখ।
উল্লেখ্য বর্তমানে ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে সূর্যের বাবার অ্যাক্সিডেন্ট হওয়ায় দীপা হাসপাতালে নিয়ে আসে তাকে। সূর্যকে খবর দেয় সে। কিন্তু সূর্য তাকে দেখে চমকে উঠলে দীপাকে মেনে নেয় না সে। বরং তাকে অপমান করে সেখান থেকে বের করে দেয়। এরপর দীপা অপমান সহ্য করতে না পেরে সেখান থেকে চলে গেলে লাবণ্য এসে জিজ্ঞাসা করে দীপা কোথায়। যখন সে জানতে পারে দীপা অপমানিত হয়ে চলে গেছে তখন তার ছবি নিয়ে খুঁজতে বের হয় লাবণ্য।
