হাত ধরে টান মেরে সৃজনকেও একপ্রকার জোর করে শপথ করালো পর্ণা, প্রোমো দেখে হাসছেন অনেকেই, তবে প্রশংসা কুড়িয়েছে ধারাবাহিকের নতুন এই ধারণা
জি বাংলার এই ধারাবাহিক বরাবরই টিআরপি তালিকায় ভালো ফলাফল করে এসেছে , চলতি সপ্তাহেও প্রথম পাঁচে রয়েছে জি বাংলার চার চারটি ধারাবাহিক, তার মধ্যে একটি হল ‘নিম ফুলের মধু’। জি বাংলার ‘মিঠাই’কে তার প্রাইম স্লট থেকে সড়িয়েছিল এই ধারাবাহিক, তবে একেবারে মিঠাইয়ের যোগ্য পরিবর্তন এই ধারাবাহিক তা বলা যেতে পারে। ধারাবাহিকের সাথে বাস্তব জীবনের মিল অনেকেই পেয়েছেন। আর সে কারণেই এত ভালো ফলাফল এর।
ধারাবাহিকে মেয়েদের কাজ করা, বাড়ির মেয়েকে পড়ানো, জোচ্চোরের সাথে বিয়ে হওয়া থেকে আটকানো, বাড়ির বৌদের যা ইচ্ছা তা পরা থেকে আটকানো ইত্যাদি বাস্তবধর্মী বিষয় দেখানো হয়েছে এই ধারাবাহিকে। তাছাড়াও দেখাশোনা করে বিয়ে হওয়ার পর শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে নতুন বউদের কি কি অসুবিধায় পড়তে হয় তা খুব সুন্দর করে দৃশ্যায়িত হয়েছে এই ধারাবাহিকে। বাস্তব জীবনের সাথে অনেক মা বউয়েরাই মিল পেয়েছে। এমনই একটি নতুন প্রোমো দেখানো হল আবার এই ধারাবাহিকের।
ধারাবাহিকে মেজ কাকিকে দিয়ে বাড়ির সমস্ত কাজকর্ম করানো হচ্ছে কারণ মেজ কাকির বৈধব্যযোগ আছে অর্থাৎ এমন মেয়ে যার বৈধব্যযোগ আছে তার সাথে বিয়ে হলে সেই ছেলে বেশিদিন বাঁচবে না। আর নতুন এই প্রোমোয় দেখানো হল মেজকাকার অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে, আর তাই সকলেই দোষারোপ করছে মেজকাকিকে। ঘর থেকেও তাড়িয়ে দিতে উদ্যত হয়েছে দত্তবাড়ির সকলেই। তবে পর্ণা থাকতে এমনটা কি করে হয়, তাই পর্ণা শপথ নেয়, তবে অগ্নি শপথ নেওয়ার আগে পর্ণার তার বর সৃজনকেও টান মেরে শপথ নেওয়ায় যে তারা দুজনে প্রমাণ করে দেবে কুসংস্কারের থেকে ছোটোকাকির ভালোবাসার জোর বেশি।
এখানেই দর্শকরা প্রশংসা করেছে নির্মাতাদের। কুসংস্কারের জন্য এমন কথা অনেক মেয়েদেরকেই শুনতে হয়েছে শ্বশুড়বাড়িতে গিয়ে। তবে পর্ণা আবারও সকলকে ভুল প্রমাণিত করতে এগিয়ে এসেছে। তবে টান মেরে সৃজনকেও এনেছে। এখানেই অনেক দর্শকই লিখলেন, সৃজনের শপথ নেওয়ার কোনো ইচ্ছাই ছিল না, খালি বৌয়ের কথা শুনে এমনটা করল সে, আর এই টান মারা দেখে অনেকেই মজা পেয়েছেন। তবে আগত এই এপিসোডগুলি ভালো হবে এমনটাই আশা করছে দর্শকরা।
