বাংলা সিরিয়াল

‘খালি চটাশ চটাশ কথা বলে পাখি, একদম শ্রুতি দির মত’-শ্বশুর বাড়িতে পা রাখতে না রাখতেই পাখির কট কট কথা শুনে বলছেন নেটিজেন!

জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক রাঙ্গা বৌ। এই ধারাবাহিকের মধ্য দিয়ে বহুদিন পর ফিরে এসেছে ত্রিনয়নী খ্যাত জুটি শ্রুতি দাস আর গৌরব রায় চৌধুরী। এই ধারাবাহিকে দেখা যায় যে পাখি সহজ সরল একটি মেয়ে কিন্তু সে বোকা নয় সে অত্যন্ত বুদ্ধিমান। অন্যদিকে খুব চরিত্রটি অত্যন্ত পরোপকারী, সে সকলের উপকার করে তবে তার চরিত্রের একটাই দোষ আছে যে কারণে সে সকলের কাছে অবহেলার শিকার হয় এবং সবাই তার ভালো মানুষীর সুযোগ নেয়। সেটা হলো তার ভুলে যাওয়ার রোগ।

সে সব কাজ দায়িত্ব নিয়ে শুরু করলেও শেষ অবধি একা একা শেষ করতে পারেনা কারণ তার ভুলে যাওয়া রোগ‌। পাখি এই রোগ সম্পর্কে কিছু জানে না, তবে সে যখন শীল বাড়িতে আগে গিয়েছিল তখন পূর্ব পরিচিত হওয়া সত্ত্বেও কুশ তাকে চিনতে অস্বীকার করেছিল তা তার মনে আছে তাই তার অসম্মান হতে দেখে যখন কুশ তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয় তখন থেকে পাখি একটা অজানা ভয় পেতে থাকে।

সম্প্রতি ‘রাঙ্গা বউ’ ধারাবাহিকে যে প্রোমোটি দিয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে যে বিয়ের পরে কুশ পাখিকে নিয়ে সেন বাড়ির দরজায় হাজির হয়েছে। সেন বাড়ির সবাই পাখিকে দেখে চমকে গিয়েছে, তারা বলতে শুরু করেছেন,‘এমা! এই কিনা শীল বাড়ির বউ!’এরপর ধারাবাহিকে দেখা যায় যে, কুশের বাড়ির একজন বলে কোনদিন আয়নাতে মুখটুকুও দেখেনি!-

এই বলে সে একটা কাচের টুকরো ব‌উ এর পা রাখার আলতার প্লেটে দিয়ে দেয়। পাখি পা দিতে গিয়ে বুঝতে পারে কিছু একটা চকচক করছে তখন সে আলতার থালা থেকে কাচের টুকরোটা তুলে ফেলে, কুশ তাই দেখে ভয় পেয়ে যায়, পাখি তখন বলে, ভয় পাবেন না, সাবধানে দেখে শুনে পা ফেলার অভ্যাস আছে আমার।

এই এপিসোড টি দেখে সোশ্যাল মিডিয়ায় একজন নেটিজেন লিখেছেন যে,“এই পাখির ক্যারেক্টরটা জোশ… একদম শ্রুতি দি…” আরেকজন আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন মনে,“খালি চটাশ চটাশ কথা বলে…”

Related Articles